একাকিত্ব কেড়ে নেয় আয়ু!
নিজের রাজ্যে নিজেই রাজা, নিজেই প্রজা। শাসন করার কেউ নেই, যা ইচ্ছা তাই করা সম্ভব। এমন স্বাধীন থাকা সম্ভব কেবলমাত্র একা থাকলে। সেই একাকিত্ব কারো ইচ্ছাকৃত কারো অনিচ্ছাকৃত। ইচ্চাকৃত একাকিত্ব শান্তি দিলেও অনিচ্ছাকৃত একাকিত্ব দেয় ভীষণ শাস্তি। তবে সব একাকিত্বের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা।
কেন্টাকির ইউনিভার্সিটি অব লুইভিলের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারী সঙ্গীবিহীন জীবন কাটায় তারা মারা যায় বিবাহিতদের তুলনায় কমপক্ষে ১৫ বছর আগে। অর্থাৎ বিবাহিতাদের তুলনায় অবিবাহিতা নারীদের ক্ষেত্রে এ হার ২৩ শতাংশ বেশি।
গবেষণা মতে, পুরুষের ক্ষেত্রে এ পরিস্থিতি আরও শোচনীয়। বিবাহিত পুরুষের তুলনায় নিঃসঙ্গ পুরুষ মারা যায় কমপক্ষে ১৮ বছর আগে। এক্ষেত্রে বিবাহিতদের তুলনায় অবিবাহিত পুরুষের মারা যায়ার আশঙ্কা ৩২ শতাংশ বেশি।
বিগত ৬০ বছরে ৫০ কোটি মানুষের ওপর পরিচালিত বিভিন্ন ধরনের ৯০টি গবেষণার ফল বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া যায়। তথ্যে ব্যাখা করা হয়, বিবাহিত জীবনে সঙ্গীর সঙ্গে সঙ্গীনী থাকায় নিজের খাওয়া দাওয়া বা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যেমন উৎসাহী থাকে একা থাকলে সেটা সম্ভব হয় না। পরিবারের বন্ধন না থাকলে মানুষ নিজের প্রতিও উদাসীন থাকে। স্বাস্থ্যঝুঁকির এটাও অন্যতম কারণ। এছাড়া একা থাকলে মানসিক বিষণ্ণতা নানা রোগ ডেকে আনে। এগুলোও আপনার স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হতে পারে।
মন্তব্য চালু নেই