একসঙ্গে মরা হলো না তাদের
মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে প্রথম পরিচয়। তারপর মনের আদান প্রদান। ভালোই চলছিল রিয়াদ হোসেন (২২) ও তাছলিমা আক্তারের (১৮) প্রেমের সম্পর্ক। হঠাৎ করেই বউ সাজিয়ে তাছলিমাকে নিয়ে যান তৃতীয় কোনো ব্যক্তি। চেষ্টা করেও স্বামীকে মেনে নিতে না পেরে চলে যান প্রেমিক রিয়াদের কাছে। তবে সেখানে বাধসাধে দুই পরিবার। এরপর সিদ্ধান্ত হয় দু’জনেই চলে যাবেন মৃত্যুপুরে। চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর হয়নি।
প্রেমের সর্ম্পক মেনে না নেয়ায় এভাবেই বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন লক্ষ্মীপুরের রিয়াদ ও তাছলিমা। গুরুতর অবস্থায় তাদের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সোমবার সকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের কাঁঠালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের কাঁঠালী গ্রামের আবদুস শহীদের ছেলে রিয়াদ হোসেন ও একই এলাকার আমিন উল্যার মেয়ে তাছলিমা আক্তারের মধ্যে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে মন দেয়া নেয়া হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে গভীর সর্ম্পক গড়ে উঠে। সম্প্রতি তাছলিমা আক্তারের পরিবার মতামত না তাকে অন্যত্র বিয়ে দেয়। বিয়ের পর তাছলিমা স্বামীকে মেনে নিতে না পেরে গোপনে প্রেমিক রিয়াদ হোসেনের কর্মস্থল ঢাকায় চলে যান।
ঢাকা থেকে গত রোববার রাতে বাড়িতে চলে আসেন তারা দু’জন। পরে দুই পরিবারকে প্রেমের বিষয়টি জানালেও তাদের প্রস্তাব মেনে নেয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দু’জনেই একসঙ্গে বিষ পান করে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন।
কুশাখালী ইউপি চেয়ারনম্যান জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ন কবির জানান, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কমলাশীষ রায়।
মন্তব্য চালু নেই