একটি মাটির প্রদীপই পারে আপনার ভাগ্য ফেরাতে, জেনে নিন পদ্ধতি
বাস্তুশাস্ত্র মাটির প্রদীপকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। এই শাস্ত্র মতে, বিভিন্ন দেবতার উদ্দেশ্যে প্রজ্জ্বলিত মৃৎপ্রদীপ বিভিন্ন সুফল বহন করে।
সনাতন ভারতীয় সংস্কৃতিতে মৃৎপ্রদীপ অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় যুগে যুগে অবতীর্ণ। সিন্ধু সভ্যতার ধ্বংসাবশেষেও অসংখ্য মাটির প্রদীপের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত যে কোনও উপাসনায় সনাতন ধর্ম মৃৎপ্রদীপকে বিপুল গুরত্ব দিয়ে থাকে।
দেবমৃর্তির পূজাই হোক অথবা নিরাকার ঈশ্বরের আরাধনা— প্রদীপ প্রায় প্রতিটি উপাসনাতেই ব্যবহৃত হয়। বাস্তুশাস্ত্র মাটির প্রদীপকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। এই শাস্ত্র মতে, বিভিন্ন দেবতার উদ্দেশ্যে প্রজ্জ্বলিত মৃৎপ্রদীপ বিভিন্ন সুফল বহন করে। দেখে নেওয়া যাক, বাস্তুর বক্তব্য।
• সূর্যের প্রতিকৃতির সামনে নিয়মিত মৃৎপ্রদীপ জ্বালালে যে কোনও অসুস্থতা দূরে থাকে।
• প্রতি সন্ধ্যায় রাধাকৃষ্ণের প্রতিকৃতির সামনে মাটির প্রদীপ জ্বালালে জীবনসঙ্গী বা সঙ্গিনীর মঙ্গল নিশ্চিত হয়।
• শ্রীহনুমানের পঞ্চমুখী অবয়বের সামনে প্রদীপদান করলে দুঃস্বপ্ন দেখার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
• আর্থিক সৌভাগ্য নিশ্চিত করতে ধনদেব কুবেরের প্রতিকৃতির সামনে প্রতিদিন প্রদীপ জ্বালা প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, কুবেরের প্রতিকৃতি যেন উত্তর দিকে মুখ করে থাকে।
• বাড়ি অথবা কাজের জায়গায় গণপতি মূর্তির সামনে মৃৎপ্রদীপ জ্বালালে মানসিক শান্তি ও আর্থিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত হয়।
• পাপের প্রায়শ্চিত্তের জন্যে শিবমূর্তির সামনে প্রীপ জ্বালানো কর্তব্য।
• প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের একটি বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে। তিনটি প্রদীপ জ্বালানোই সব থেকে ফলদায়ী বলে মনে করে বাস্তুশাস্ত্র। এই তিন প্রদীপ দুর্গা, লক্ষ্মী ও সরস্বতীর প্রতীক।
• প্রদীপ স্থাপনের সময়ে একটি পারিষ্কার কাপড় পেতে তার উপরেই তা স্থাপন করা বিধেয়।
• প্রদীপের তেল সর্বদা সরষের হওয়াই বাঞ্ছনীয়। নারকেল বা সূর্যমুখী তেলে প্রদীপ জ্বাললে তা অর্থনৈতিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
• প্রদীপের অভিমুখ উত্তর দিকে হলে দ্রুত শ্রীবৃদ্ধি হয়। পূর্ব-অভিমুখী প্রদীপ মানসিক শান্তি নিশ্চিত করে। পশ্চিমে যদি প্রদীপের অভিমুখ রাখা হয়, তা হলে শত্রুনাশ হয়। কিন্তু দক্ষিণমুখী প্রদীপ দুর্ভাগ্য ডেকে আনে।
মন্তব্য চালু নেই