একজন রিক্সাচালকের ছেলের প্রতি ভালবাসা ও দায়িত্ব
রাত তখন ১১টা,রিক্সায় বাড়ি ফিরছি। বৃষ্টি নেই কিন্তু সন্ধ্যার বৃষ্টিতে রিক্সাওয়ালার ভেজা শরীরটি তখনও শুকায়নি। থেমে থেমেই হাঁচি দিচ্ছিলেন, বুঝলাম ঠাণ্ডায় ধরেছে,হয়তো জ্বরেও ধরবে। কৌতুহলী হয়ে বললাম,
ঠাণ্ডা লেগেছেতো মিঞা,এত রাতে রিক্সা না চালালে হয় না !
মিনিট পাঁচেক চুপ থেকে ভাঙ্গা গলায় জবাব দিলেন,
নারে বাপু হয় না,পোলাডারে মাসে মাসে ৫/৬ হাজার টাকা পাঠাইতে হয়।
তা পোলায় কী করে?
পড়ে ।
কোথায় ?
বগুড়া,আজিজুল হক কলেজে,অনার্সে। ছাত্র ভাল,গত বছর ভর্তি হইছে।
কথা বাড়ালাম না। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের এই রিক্সাওয়ালার ছেলের মুখটাকে কল্পনায় আঁকতে চেষ্টা করলাম। ছেলেটা নিশ্চই হোস্টেলের বিছানায় শুয়ে গান শুনছে,নয়তো আড্ডা জমিয়েছে, নয়তো বই নিয়ে টেবিলে,মন দিয়ে পড়ছে।
ছেলেটি জানেনা তার বাবা বৃষ্টি ভেজা শরীরে প্রায় মধ্যরাতে যাত্রী টানছেন। বাবার সর্দি লেগেছে,কাল হয়তো জ্বরও আসবে। সেই জ্বর শরীরেও তার বাবা কাল আবারও যাত্রী টানতে রাস্তায় নামবেন।
মন্তব্য চালু নেই