একজনকে গাড়ি থেকে নামাতে ২০ জন!

বয়স তার ৩৩। আর ওজন? ২৫০ কেজি। শ্বাসকষ্ট হওয়ায় বৃহস্পতিবার সিয়া চাই নামের মালয়েশিয়ার ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হয়েছে। আর এ জন্য রীতিমতো ঘাম ঝরাতে হয়েছে ২০ জন মানুষকে।

সিয়ার মা খো জানান, দুই বছর আগেও তার ছেলের ওজন এতো বেশি ছিল না। সিয়া করাত কলে কাজ করতো। ২০১০ সালে কর্মস্থলের রান্নাঘরে কাজ করার সময় সেখানকার কাঠের মেঝেটি ভেঙ্গে যায়। এতে পড়ে গিয়ে পায়ের গোড়ালিতে আঘাত পায় সিয়া। প্রথমে কোনো সমস্যা না হলেও এক মাস পরে গোড়ালিতে প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভব করতে শুরু করে সে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তার আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে অপারেশন করেন। পরে তারা জানান, সিয়ার একটি রগ আঘাত পাওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অপারেশনের পর সুস্থবোধ করতে শুরু করে সে। কিন্তু এক মাস পর আবারও ব্যাথা ফিরে আসতে শুরু করে গোড়ালিতে। শেষ পর্যন্ত চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় সিয়া। ২০১৪ সালের মে মাসে তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার পর সে ঘরবন্দি হয়ে পড়ে। এ সময়ের মধ্যে তার ওজন বাড়তে শুরু করে।

খো বলেন, ‘আমাদের অনেক স্বজন সিয়ার খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু সে আমাদের কারো কথা শোনেনি।’

তবে তার সন্তান কখনো অতিরিক্ত খাবার খেতো না বলে জানান খো। অধিকাংশ সময় সে কেবল দুই বেলা খাবার খেতো বলে জানান তিনি।

পায়ের ব্যাথার কারণে হাটাচলা না করার কারণে সিয়ার ওজন বেড়ে গিয়েছিল। ঘরের ভেতরে হাটার জন্য তাকে বিশেষ লাঠি দিয়েছিল তার খালা।

খো বলেন, ‘গত চারদিন ধরে তার অবস্থা খারাপের দিকে যেতে শুরু করে। সে কেবল মেঝেতে হামাগুড়ি দিতে পারতো। সে মূত্র ত্যাগও করতে পারতো না। এরপরই তার বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে শুরু করে।’

হাসপাতাল থেকে সিয়ার বাড়ির দূরত্ব মাত্র ১১ কিলোমিটার। বাড়ি থেকে সিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য ৫ টনের একটি লরি ভাড়া করতে হয়েছে। আর ওই লরিতে ওঠাতে ও সেখান থেকে নামাতে ফায়ার সার্ভিস বিভাগের ২০ কর্মীকে এক ঘন্টা ৪০ মিনিট চেষ্টা করতে হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই