একই ভবনে তিন সময়ে ইফতার !
একই ভবনে তিন সময়ে ইফতার করা হয়। দুবাইয়ের বুর্জ খলিফায় যারা বাস করেন তারা তিন সময়েই ইফতার করেন। পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ইমারত হওয়ায় সময়ের হেরফের হচ্ছে।
১৬০ তলার এই বুর্জ। উচ্চতা দুই হাজার ৭২২ ফুট। এই উচ্চতার কারণেই সেখানে সময়ের হেরফেরটা হয়। ইমারতের নিচতলায় যখন সূর্য ডুবে, ১৬০তম তলায় ডুবে এর আরো তিন মিনিট পর।
আবার সূর্য উঠার সময় ঘটে উল্টোটা। ১৬০তম তলায় সকালটা তিন মিনিট আগে। একই ভবনে সকাল-সন্ধ্যার এই হেরফেরের কারণে ইফতার ও সেহরির সময়েও ব্যবধান রয়েছে।
২০১১ সালে এমন কথা জানিয়েছিলেন দুবাই ইসলামিক অ্যাফেয়ারস ডিপার্টমেন্টের তৎকালিন ফতোয়া বোর্ডের প্রধান আহমেদ আব্দুল আজিজ আল হাদ্দাদ।
আজিজ আল হাদ্দাদ বলেন, ভবনের উচ্চতার বিভিন্নতার কারণে বুর্জ খলিফার বাসিন্দারা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ইফতার, ফজরের নামাজ ও মাগরিবের নামাজ পড়েন।
২০১১ সালে ইমারতটিতে ইফতার ও সেহরির জন্য তিন রকম সময় নির্ধারণ করে। ১৬০ তলাবিশিষ্ট এই ভবনটির ৮০ তলার উপরে যারা বসবাস করেন তারা নিচতলার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের দুই থেকে তিন মিনিট পর ইফতার করে আসছেন।
হাদ্দাদ জানান, যেসব মুসলমান ভবনের ৮০ থেকে ১৫০তম তলায় থাকেন তারা নির্দিষ্ট সময়ের দুই মিনিট পর ইফতার করবেন।
তিনি বলেন, ওই এলাকার মসজিদে যখন মাগরিবের আযান হবে তারও দুই মিনিট পর তারা ইফতার করবেন । আর যারা ১৫১ থেকে ১৬০তম তলার মধ্যে থাকেন তারা আরো এক মিনিট পর অর্থাৎ আযান দেয়ার তিন মিনিট পর ইফতার গ্রহণ করবেন।
ডিপার্টমেন্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইফতারের মতো ঠিক সেহরির সময়ও হেরফের হয়। নির্দিষ্ট সময়ের দুই থেকে তিন মিনিট আগে তারা সেহরি শুরু করেন।
সময়ের এই হেরফেরের কারণ হিসেবে জানানো হয়, রোজাদার যে এলাকায় থাকবেন সেখানকার সময় অনুযায়ী তাকে ইফতার করতে হবে।
রোজাদার যদি বিমানে চড়ে কোথাও যান, সে ক্ষেত্রেও তিনি যে এলাকার আকাশে থাকবেন সেখানকার সময়েই ইফতার করবেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে এই উঁচু ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০০৪ সালের ৬ জানুয়ারি। এর কাজ শেষ হয় ২০১০ সালে। আর ভবনটির উদ্বোধন করা হয় ২০১০ সালের ৪ জানুয়ারি। দেড় হাজার কোটি মার্কিন ডলার খরচ করে ভবনটি নির্মাণ করা হয়।
মন্তব্য চালু নেই