এও সম্ভব !
দৃশ্যশিল্পে সুররিয়্যালিজমের চর্চা খুব বেশিদিনকার নয়। দৃশ্যের বাস্তবতার মাঝে অতিবাস্তবতা প্রতিষ্ঠা করার এই প্রক্রিয়া যদিও চিত্রশিল্পে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। ইউরোপের এনলাইটেনমেন্টের সময়ে আজকের সুররিয়্যালিজম বা ‘অতিবাস্তবতা’ উৎকর্ষতায় পৌছায়। তবে দৃশ্যশিল্পের বাস্তবতায় অতিবাস্তবতাকে কাজে লাগাতে সর্বপ্রথম এগিয়ে আসেন অ্যানসেল অ্যাডামস। এরপর তার হাত ধরে আরও অনেক আলোকচিত্রী একে নিয়ে যায় নিখুত ও ভিন্নতার কাছে। একবিংশ শতাব্দীতে আলোকচিত্রীরা ডিজিটাল আলোকচিত্রের জামানায় প্রবেশ করলে অতিবাস্তবতা প্রতিষ্ঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে দাড়ায় ফটোশপ নামের একটি সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে এযাবৎ অনেক সুররিয়্যাল আলোকচিত্র সৃষ্টি করা হয়েছে।
কিন্তু আজ আমরা যে ছবিগুলো কথা বলছি, এগুলো মোটেও ফটোশপ সৃষ্ট সুররিয়্যাল ছবি নয়। বরংচ মানুষের চোখের ভ্রমকে কাজে লাগিয়ে একদল শিল্পী এই আলোকচিত্রগুলো নির্মান করেছেন এবং বিশ্ব আলোকচিত্র অঙ্গণে ভিন্ন স্থান দখল করে নিয়েছে। একজন ছয়ফুট উচ্চতার মানুষের মাথাটা কিভাবে বিশাল বড় হয়? কিংবা মাথাহীন বেসবল খেলোয়াড়ই বা কিভাবে দিব্যি মাঠে খেলে যাচ্ছেন? এরকম অনেক প্রশ্নের উত্তর প্রথমে আপনার আমার মাথায় না আসলেও ছবিগুলো একটু ভালো করে খেয়াল করলেই আসল রহস্যটা টের পাওয়া যায়।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্স দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যেসব শিল্পীরা দৃশ্যের ভ্রম নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের কাছ থেকে ছবি সংগ্রহ করছে। সম্প্রতি ওই সংগ্রহকৃত ছবিগুলো প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। শুরুতে এনিয়ে বেশকিছু বিতর্কের সৃষ্টি হলেও বিখ্যাত আলোকচিত্রীদের হস্তক্ষেপে শেষমেষ বিষয়টি নিষ্পত্তি হয় এবং প্রদর্শনীর জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় ছবিগুলো।
মন্তব্য চালু নেই