এই শীতে প্রতিদিন অবশ্যই একটি টমেটো

দৃষ্টিনন্দন শীতের সবজি টমেটো। টসটসে গোলগাল এই সবজিটি শুধুমাত্র দেখতেই সুন্দর এমন নয়, পুষ্টিগুণেও ঠাসা। বাজারে প্রচুর লাল ও সবুজ রং এর টমেটো পাওয়া যায়। তবে পুষ্টির দিক থেকে কাঁচা বা সবুজ টমেটোর চেয়ে লাল বর্ণের টমেটোর পুষ্টিগত তাৎপর্য বেশি।

জেনে আশ্চর্য হবেন, রান্নার পর লাল টমেটোর পুষ্টিগুণ বেড়ে যায় বহুগুন। শুধু তাই নয়, ভিটামিনের দিক থেকেও অন্যান্য সবজির তুলনায় বেশি। পাকা টমেটোতে অধিক পরিমানে রয়েছে – ভিটামিনএ (বিটাক্যারোটিন), ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপেৱক্স, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন এবং অনন্য এন্টিঅক্সিডেন্ট।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে পাকা টমেটো হৃদরোগ ও বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। টমেটোর পাতায় ভিটামিন ‘ডি’ স্বল্প পরিমানে পাওয়া যায়, যা দেহে ক্যালসিয়াম এবং ফসফেট এর বিপাকে প্রভাব বিস্তার করে রিকেটস, অষ্টিয়মেলেসিয়া, অষ্টিপোরসিস এর ঝুকি কমায়।

চলুন জেনে নিই, টমেটোর কিছু উপকারিতা-

>হার্টের জন্য ভালো টমেটো। কোলেস্টেরলের মাত্রা ও রক্তচাপ কমাতে সহায়ক এটি। তাই নিয়মিত টমেটো খেলে, হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে আসবে।

>ডায়াবেটিসের জন্য টমেটো বেশ উপকারী। এ সবজি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

>টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন এ যা দৃষ্টিশক্তিকে আরও উন্নত করে। টমেটো একজন পুর্ণবয়স্ক মানুষের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। এতে যে ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে, সেটা রাতকানা রোগ নিরাময় করে।

>টমেটোতে বিদ্যমান ভিটামিন-কে মজবুত হাড় গঠনে সহায়তা করে।

>ধূমপান ছাড়তে সহায়ক ভূমিকা পালনের সঙ্গে সঙ্গে ধূমপানের কারণে শরীরে সৃষ্ট ক্ষতি পুষিয়ে নিতেও কার্যকরী এ সবজি।

>টমেটো শরীরে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে যা শরীরের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে করে। চুল ও দাঁতের জন্যও সমান উপকারী এ সবজি।

>কিডনিকে সুস্থ-সবল রাখতে ভূমিকা পালন করে টমেটো।

>বিশেষ কয়েক ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এর মধ্যে পাকস্থলী, কোলোরেক্টাল ও প্রোস্টেট ক্যান্সার অন্যতম। টমেটোতে প্রচুর পরিমানে বেটা-ক্যারোটিন উপাদান আছে, যা পুরুষদের প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকরী সাহায্য করে। তাই যাদের প্রোস্টেট গ্রন্থিতে সমস্যা আছে, তারা টমেটোকে উপকারী উপাদান হিসেবে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।

>আমাদের দেহের ত্বককে ক্ষতিকর সূর্যরশ্মি, তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে রক্ষা করতে পারে এই টমেটো। আর আমরাও পেতে পারি সুন্দর ত্বক।

>টমেটো ন্যাচারাল এ্যান্টিসেপ্টিক। তাই ইনফেকশন রোধ করে।

>দেহের পানিশূন্যতা রোধে টমেটো হচ্ছে প্রাকৃতিক ওষুধের মত। দেহে শক্তি যোগায় এই টমেটো।

>শুনতে অবাক করলেও এটাই সত্যি। টমেটো আমাদের বিষন্নতা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, আমাদের পরিপাকতন্ত্রের এবং ঘুমের সমস্যায় এই টমেটো অনেকটা কার্যকরী।

>টমেটোতে যেই পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে, সেটা আমাদের চুল পড়া কমায় এবং চুলকে মজবুত করে।

>যাদের বাতের ব্যথা প্রচণ্ড, তারা টমেটো খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করবেন, কারণ এটি বাতের ব্যথা অনেকাংশে দূর করতে সক্ষম।



মন্তব্য চালু নেই