এই মন্দিরই নাকি বর্ষার পূর্বাভাস দেয়!
বর্ষা কখন আসবে, বর্ষার কারণে কারো কোনো খ্যাতি হবে কিন। বৃষ্টির পরিমণ কত হতে পারে এমনই সব নাকি বলে দেয় এই মন্দির। আর তাই স্থানীয় লোকেরা এই মন্দিরকে ‘বর্ষার মন্দির’ নামে ডেকে থাকেন।
ভারতের কানপুরের গৌতমপুর এলাকার ভিতরগাঁও বেহাটায় ১০০ বছরেরও বেশি পুরোনো একটি জগন্নাথ মন্দির রয়েছে। স্থানীয়দের বিশ্বাস, বর্ষার সব খবরাখবর, পূর্বাভাস- সবই নাকি এই মন্দির থেকে জানা যায়। শুধু তাই নয়, এবছর যে খরা হবে, তাও ভবিষ্যতবাণী শুনিয়েছিল এই মন্দির!
ঘটনার কথা শুনে এই মন্দির দর্শনে গিয়েছিল একটি রিসার্চ টিম। সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানীও। সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারেন, এই সমস্ত কিছুই মানুষের বিশ্বাস। বিজ্ঞানের কোনো প্রভাব নেই। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত কে পি শুক্লা জানিয়েছেন, ‘মন্দিরের নকশা অন্য সব মন্দিরের থেকে একেবারে আলাদা। এর একটি নিজস্ব শিল্প রয়েছে। এমন মন্দির এই রাজ্যে একটাও নেই। সম্রাট অশোক রাজত্বকালে তৈরি এই মন্দিরটি দেখতে অনেকটা স্তূপের মতোন। জগন্নাথ মন্দিরে আমাদের সাত জন্ম ধরে পূজা করে চলেছেন।’
প্রতি বছর জুলাই মাসে এই মন্দিরে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। জন্মাষ্টমীর সময় মন্দির চত্বরে বিরাট মেলা বসে। প্রধান পুরোহিত আরো বলেছেন, ‘এলাকায় বেশিরভাগ মানুষই জমিতে চাষ করেন। অনেকের নিজের জমি রয়েছে, আবার অনেকে দিনমজুরের কাজ করে জীবনযাপন করেন। ফলে মন্দিরের চাষি-ভক্তদেরই ভিড় বেশি। মন্দিরের ছাদ থেকে বড় বড় ফোঁটা আকারে ভক্তদের মাথায় জল পড়লেই, তারা বুঝতে পারেন এবছর বর্ষা কেমন হবে।’
এটা অলৌকিক বা বিশ্বাস যাই বলুন না কেন, মন্দিরের এই পূর্বাভাসই চাষিদের মনোবলকে অনেকটা বাতলে দেয়, বললেন গ্রাম প্রধান অঞ্জু সিং। তবে তার আক্ষেপ, মন্দিরটি রাজ্য প্রত্নতাত্ত্বিক দপ্তরের আওতায় পড়ে। কিন্ত কোনো রকম আর্থিক সাহায্য বা সংরক্ষিত করার উদ্যোগ নেই তাদের।-টাইমস অফ ইন্ডিয়া
মন্তব্য চালু নেই