এই ভদ্রলোককে চেনেন? ইনি না থাকলে কী কী পেতেন না, জানলে চমকে যাবেন
কুন্দনলাল না-থাকলে পুরো ভারত সফরটাই নাকি মাটি। এমনটা মনে করতেন বহু রাষ্ট্রনেতা। কারণ? কুন্দনলালের দুটো হাত। পারলে সেই হাত দুটো সোনা দিয়ে বাঁধিয়ে রাখতেন তাঁরা। সেটা বাস্তবে সম্ভব নয় বলেই হয়তো হয়নি। কিন্তু কুন্দনলালের কথা শুনলে আপনিও তাঁর তারিফ করবেন। কেননা, ভারতীয়দের রসনাতৃপ্তিতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। শুধু ভারতই বা কেন? পৃথিবীকে তিনি এমন দু’টি খাবার উপহার দিয়েছেন, যা গোটা দুনিয়া জয় করেছে অবলীলায়।
এইবারে বলে দেওয়া যাক। ‘‘ডাল মাখানি’’ এবং ‘‘বাটার চিকেন’’ খান? ভালবাসেন নিশ্চয়ই? এই দু’টি খাবার তৈরি করেছেন কুন্দনলাল গুজরাল। এখানেই শেষ নয়। ভারতে তন্দুরি খাবার জনপ্রিয় করার নেপথ্যে প্রধান ভূমিকাটি তাঁরই।
দিল্লির দরিয়াগঞ্জে ‘‘মোতি মহল’’-এ বসে তাঁর কাজ চালিয়ে গিয়েছেন কুন্দনলাল। দেশভাগের পরে ১৯৫০-এর দশকে পাকিস্তান থেকে দিল্লি চলে আসে কুন্দনলালের পরিবার। দরিয়াগঞ্জে যে রেস্তোরাঁ তিনি খুলেছিলেন, তার মূল উদ্দেশ্য ছিল তন্দুরি খাওয়াকে ভারতে জনপ্রিয় করা।
কীভাবে বাটার চিকেনের উদ্ভব হল? একবার কুন্দনলাল দেখেন, বেশ কয়েকটি তন্দুরি চিকেনের টুকরো পড়ে রয়েছে। সেই টুকরোগুলি শুকিয়ে যাচ্ছিল ক্রমশ। সেগুলিকে ভেজানোর জন্য একটি ‘সস’-এর প্রয়োজন হয়েছিল। তখনই গ্রেভিটি তৈরি করে ফেলেন কুন্দনলাল। এভাবেই জন্ম ‘‘বাটার চিকেন’’-এর। এর পরে নিরামিশাষীদের জন্য তিনি তৈরি করেন ‘ডাল মাখানি’।
জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গাঁধী, জাকির হুসেন থেকে শুরু করে জুলফিকর আলি ভুট্টো, আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নিক্সন এবং কেনেডি ছিলেন কুন্দনলালের রান্নার গুণমুগ্ধ। এ ছাড়াও ভারতে পঞ্জাবি রান্না জনপ্রিয় করাও ছিল কুন্দনলালের আর এক সাফল্য। এই দেশের প্রথম সেলেব্রিটি শ্যেফ বলতে কুন্দনলালের কথাই সর্বাগ্রে আসে।
এমন এক ব্যক্তিত্ব। অথচ, ক’জনই বা এঁর কথা জানেন?
মন্তব্য চালু নেই