এই জীবন্ত বার্বি-ডল মডেলের মেক-আপ ছাড়া আসল চেহারা দেখলে চমকে উঠবেন!
বার্বি পুতুল সারা বিশ্বেই বিখ্যাত। অতিশয় সুন্দরী তন্বী মেয়েদের আদলে তৈরি এই পুতুল বাচ্চা-বুড়ো সকলেরই অত্যন্ত পছন্দের। আর বার্বি পুতুলের সেই জনপ্রিয়তার দৌলতেই জনপ্রিয় হয়েছেন ইউক্রেনের মডেল ভ্যালেরিয়া লুকিয়ানোভা, যিনি জীবন্ত বার্বি-ডল হিসেবেই বিখ্যাত।
দেখুন, উপরের ছবিগুলি। আচমকা দেখলে ভুল হতে পারে। মনে হতে পারে, এ তো বার্বি পুতুলেরই ছবি। আসলে কিন্তু তা নয়। এগুলো ভ্যালেরিয়ার ছবি। এবং একেবারে আসল ছবি, কোনও ফোটোশপের কারসাজি নেই ছবিগুলিতে। ছবিগুলি দেখলেই বোঝা যায়, কেন তাঁকে হিউম্যান বার্বি বলে ডাকা হয়।
ভ্যালেরিয়ার এহেন চেহারা দেখে অনেকেই অনেক সময়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে, কীভাবে একজন জলজ্যান্ত মহিলাকে এরকম অবিকল বার্বি পুতুলের মতো দেখতে হতে পারে! তাঁকে কি প্রাকৃতিক ভাবেই এমনটা দেখতে! তাহলে আসুন ভেদ করা যাক ভ্যালেরিয়ার রূপের রহস্য।
প্রথমেই জেনে রাখা ভাল, ভ্যালেরিয়ার যে চেহারা ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে, সেটা মোটেই তাঁর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নয়। তিনি সচেতনভাবেই নিজেকে বার্বি পুতুলের মতো করে ‘গড়ে’ তুলেছেন। অজস্র প্লাস্টিক সার্জারির সৌজন্যে নিজের নাক–মুখ-ঠোঁটকে করে নিয়েছেন বার্বি পুতুলের মতো। তাঁর চোখের ওই নীল রঙা মণিটিও কনট্যাক্ট লেন্সের অবদান। তাছাড়া ভ্যালেরিয়া নিয়মিত জিমে গিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেন, এবং একেবারে লিকুইড ডায়েটের উপর জীবনধারণ করেন। এটাই তাঁর ওই পুতুল-সুলভ সরু সরু হাত পায়ের রহস্য।
এছাড়া শ্যুটিং-এর আগে খুব উঁচু দরের মেক-আপের সাহায্য তো নেওয়া হয়ই। কেমন লাগে ভ্যালেরিয়াকে মেক-আপ ছাড়া? আসুন, দেখে নেওয়া যাক মেক-আপহীন ভ্যালেরিয়ার কয়েকটি ছবি—
কী? চমকে উঠলেন তো? স্বাভাবিক। কারণ মেক-আপ ছাড়া ভ্যালেরিয়াকে সুন্দর লাগলেও, স্বাভাবিক অবস্থায় বার্বি পুতুলের সঙ্গে কোনও মিলই নেই তাঁর চেহারার।
তাতে অবশ্য ভ্যালেরিয়ার কিছু আসে যায় না। মেক-আপ ছাড়া তাঁকে আর কে-ই বা দেখতে যাচ্ছে? আপাতত, জীবন্ত বার্বি ডল হিসেবেই ভ্যালেরিয়ার বিশ্বজোড়া খ্যাতি। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ৩৯৯ হাজার। পাশাপাশি তাঁকে দেখা গিয়েছে ২০১৬ সালের হরর সিনেমা ‘দা ডল’-এও। নিজের জনপ্রিয়তাকে দিব্যি উপভোগ করছেন এই জলজ্যান্ত বার্বি পুতুল।
মন্তব্য চালু নেই