এই জিনিস মাখলে আর বিউটিপার্লার যেতে হবে না!
ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে মানুষ কত কিছুই না করে। চারকোল থেরাপি থেকে চকোলেট থেরাপি, স্নেক থেরাপি। কিন্তু, সৌন্দর্যের নতুন এক বিধান চারিদিকে হইচই ফেলে দিয়েছে।
কী সেই জিনিস যা মাখলে আর বিউটিপার্লার যেতে হবে না? শুনলে চমকে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। প্রস্রাব। হ্যাঁ, বিশ্বের তাবড় তাবড় ত্বক বিশেষজ্ঞরা এখন ত্বকের যৌবন বজায় রাখতে প্রস্রাব-ই সেরা বলে দাবি করছেন।
সকালে হওয়া প্রথম প্রস্রাব ত্বকে লাগালে নাকি মিলিয়ে যেতে পারে ত্বকের জটিল সব রোগ। এমনকী মিলিয়ে যেতে পারে ত্বকের কালো দাগ থেকে ঘা, কাটা-ছেড়া। ব্রণ নির্মূলেও নাকি এই থেরাপি সাংঘাতিক রকমের কার্যকরি।
প্রস্রাবের মধ্যে কী এমন গুণ আছে? ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে প্রস্রাবের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ইউরিয়া, হরমোন এবং অ্যান্টিবডিস থাকে। এইসব জিনিসগুলি ত্বকের পক্ষে খুবই উপযোগী। আর এর জন্য সকালের প্রথম প্রস্রাব সবচেয়ে ভাল। কারণ, ওই সময়ই নাকি প্রস্রাবে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ গুণাবলী বজায় থাকে।
ইতিহাস বলছে, পাঁচশ বছর আগে ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে বিশ্বে ভারতই প্রথম প্রস্রাবের ব্যবহার শুরু করে। পরে রোম, মিশর এবং গ্রিসেও এর ব্যবহার শুরু হয় এবং এই ব্যবহার নাকি তাঁরা শিখেছিল ভারতের কাছ থেকেই।
কোয়েন ভ্যান ডার ক্রুন’স নামে একজন সৌন্দর্য চর্চায় প্রস্রাবের ক্ষমতা নিয়ে বহু বছর আগে একটি বইও লিখেছেন, যার নাম ‘দ্য গোল্ডেন ফাউন্টেন: দ্য কমপ্লিট গাইড অফ ইউরিন থেরাপি’। কোয়েনের মতে, প্রস্রাবের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রতিষেধক গুণ আছে। এছাড়াও এতে আছে ময়শ্চার যা ত্বকের পক্ষে খুবই ভাল।
বিশ্বখ্যাত ত্বক বিশেষজ্ঞ র্যাচেল নাজারিয়ান জানিয়েছেন, ‘রুক্ষ ত্বককে কোমল এবং উজ্জ্বল করতে ইউরিন থেরাপি অসামান্য। ত্বকের বিভিন্ন অংশের কালো ছোপ দূর করাটা এর কাছে জলভাত।’ র্যাচেলের মতে, অনেকে প্রস্রাবের কথা শুনে নাক সিঁটকোতে পারেন। কিন্তু, এঁদের অনেকেই জানানে না সৌন্দর্য চর্চায় যে সব কসমেটিকস ব্যবহার করা হয় তারমধ্যে খানিকটা করে প্রস্রাব থেকে বের করা ইউরিয়া মেশানো থাকে। কারণ, প্রস্রাবের ইউরিয়া যে কোনও ধরনের দাগকে তুলে দিতে সক্ষম। একটু এগিয়ে আবার চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, খালি পেটে প্রস্রাব গিলে ফেলতে পারলে যৌবনকে চিরকালের মতো ধরে রাখা যায়। শরীরের হাজারো সমস্যা দূর হয়ে যায়।এবেলা
মন্তব্য চালু নেই