এই ছবিগুলির অফার ফিরিয়ে শাহরুখ সম্ভবত এখন আফশোস করেন…
অলিম্পিক্সের ইতিহাস ঘাঁটলে এমন বেশ কিছু মর্মান্তিক ঘটনা পাওয়া যায়, যা আপনাকে নাড়িয়ে দেবে।
বহু ছবির অফার কেরিয়ারে ছেড়েছেন শাহরুখ খান। তবে এমন সাতটি ছবি রয়েছে, যেগুলি তিনি না-ছা়ড়লে তাঁর মুকুটে আরও পালক যোগ হত। ছবি হিসেবে যেমন সেগুলি ভাল, হিট হিসেবেও বড়মাপের। এই সাতটি ছবির অফার ছে়ড়ে শাহরুখ কি কখনও আফশোস করেননি?
যোধা আকবর— আশুতোষ গোয়ারিকর যখন এই ছবির স্ক্রিপ্ট নিয়ে শাহরুখের কাছে যান, তখন শাহরুখ লম্বা ছুটি কাটাচ্ছেন। সময় দিচ্ছেন নিজের সন্তানদের। তিনি চেয়েছিলেন, শ্যুটিং হোক কাছাকাছি কোথাও। আশুতোষ রাজি হননি। শেষ পর্যন্ত ছবি যায় হৃতিকের কাছে। বক্স অফিসে ঝড়।
লগান— পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকর প্রথমে আমিরের কাছে গিয়েছিলেন স্ক্রিপ্ট নিয়ে। আমির খারিজ করার পরে শাহরুখের কাছে যান। কিন্তু ছবি চলবে না, এই যুক্তি আমিরের মতো শাহরুখও আশুতোষকে ফিরিয়ে দেন। পরে আশুতোষের অনুরোধে আমির ছবিটি করেন। ‘‘লগান’’ ছিল বিপুল হিট।
এক থা টাইগার— এই ছবিটি শাহরুখ করতে চেয়েছিলেন বলে শোনা যায়। কিন্তু সময় বের করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করেন সলমন খান।
কহো না পেয়ার হ্যায়— রাকেশ রোশনের হাতে স্ক্রিপ্ট আসতেই তিনি শাহরুখের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু শাহরুখ না করে দেন। এর পরে ছেলেকে নিয়ে ছবিটি তৈরি করেন রাকেশ।
থ্রি ইডিয়ট্স— রাজকুমার হিরানি কিন্তু এই ছবিতে শাহরুখকে কাজ করাতে মরিয়া ছিলেন। শাহরুখ রাজি হননি। দর্শকরা দেখেছিলেন আমির-ম্যাজিক। বক্স অফিসে মুনাফার রেকর্ডে এই ছবি ঝড় তোলে।
মুন্নাভাই এমবিবিএস— শাহরুখ খান যদি রাজকুমার হিরানি এবং বিধু বিনোদ চোপড়ার অফার নিতেন, তা হলে মুন্নাভাই হিসেবে দেখা যেত তাঁকেই। প্রথমে ঠিক হয়েছিল, জিমি শেরগিলের করা জাহিরের চরিত্রটি করবেন সঞ্জয় দত্ত। শাহরুখ না করে দেওয়ার পরে কী হয়েছে, সকলেই জানেন।
রঙ্গ্ দে বসন্তী— পরিচালক রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার প্রথম পছন্দ ছিলেন শাহরুখ। কিন্তু শাহরুখ রাজি হননি। তার পরে অফার যায় আমির খানের কাছে। বাকিটা ইতিহাস।
মন্তব্য চালু নেই