এই গোপন কথা কখনোই অফিসে বলা উচিৎ নয়, বললে নিশ্চিত বিপদ
প্রতিটি মানুষই আলাদা। তাদের আলাদা একটা জগৎ থাকে। থাকে কিছু নিজস্বতা। যা কখনোই কাউকে বলা যায় না বা বলাটাও ঠিক না। এগুলো মূলত গোপন কথা। তবে এমন গোপন কথার বাইরেও অনেক গোপন কথা থাকে, যা কারো কাছে শেয়ার করলেই বিপদে পড়তে হয়। তাই সব কথা সবখানে বলা মোটেও উচিৎ নয়।
তবে এসব গোপন কথাগুলোর মধ্যে এমন কিছু কথা থাকে যা কখনোই নিজের কর্মস্থল তথা অফিসে শেয়ার করতে নেই। কারণ, অফিস যতই খোলামেলা হোক না কেন, সেখানে সবর্দাই ‘পাওয়ার গেম’ চলমান। এমন পরিস্থিতিতে যদি নিজেকে সম্পূর্ণ মেলে ধরেন, তবে বিপদ আপনারই। তাহলে আসুন জেনে নিই এমন কিছু গোপন কথা। যা কখনোই ভুল করেও অফিসে শেয়ার করবেন না।
১। আপনার জীবনযাপনের খুঁটিনাটি, আপনার ব্যক্তিগত বন্ধুদের সম্পর্কে বিশদ, আপনার ছুটির দিনের ধারাবিবরণী অফিসে না জানালেও চলবে। ২। প্রত্যেকেরই নিজস্ব কিছু উপলব্ধি থাকে। কখনও কখনও তা আধ্যাত্মিক চরিত্রের। আপনি আপনার একান্ত সময়ে সেগুলিকে পাথেয় করে অনেকদূর যান। এই সম্পদ আপনার নিজস্ব। একে সর্বজনে নিয়ে এলে সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে কর্মস্থলে এই প্রসঙ্গে স্পিকটি নট।
৩। আপনার পারিবারিক জীবন সম্পর্কে আপনার সহকর্মীদের সঙ্গে কথা হতেই পারে। কিন্তু কখনওই কোনও পারিবারিক গোপন কথা তাদের জানাবেন না। কে কখন কোথা থেকে ফায়দা তোলার চেষ্টা করে, বলা মুশকিল।
৪। আপনার অনেক সুকৃতি থাকতেই পারে। কিন্তু সেগুলো কর্মস্থলে জাহির করতে যাবেন না। এতে আপনার পার্শ্ববর্তী মানুষটিও ভেবে বসবেন আপনি খামখা বড়াই করছেন। এতে আপনার সম্মান কমবে বৈ বাড়বে না।
৫। আপনার অ্যম্বিশনকে কখনওই অফিসে খুলে বলতে যাবেন না। সহকর্মীরা আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী, সেটা মনে রাখবেন। আপনার বিন্দুমাত্র স্খলন মানে, অন্যের কয়েক কদম এগিয়ে যাওয়া। সুতরাং নিজের উচ্চাশা ব্যক্ত করে, পরে ব্যর্থমনোরথ অবস্থায় সহকর্মীদের সহানুভূতি সন্দান করতে গেলে বিপদ রয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই