এই কাশ্মীরী কন্যা হতে চলেছেন ভারতের সর্বকনিষ্ঠ পাইলট
জীবনের যত অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন আয়েশা আজিজ। নিজে হাতে এগিয়েছেন স্বপ্নপূরণের পথে। ২০১১ সালে কাশ্মীরের এই মেয়ে মাত্র ১৬ বছর বয়সে বম্বে ফ্লাইং ক্লাব থেকে পেয়েছেন শিক্ষার্থী পাইলটের লাইসেন্স। তিনিই দেশের কনিষ্ঠতম শিক্ষার্থী পাইলট। আর কয়েক দিনের মধ্যেই আয়েশার মাত্র ২১ বছর পূর্ণ হচ্ছে। তারপরই ইচ্ছেমতো আকাশে উড়ে বেড়াতে পারবেন কাশ্মীরী এই কন্যা। সবচেয় বড় কথা, দেশের কনিষ্ঠতম পাইলট হবেন তিনি!
গত বছর বম্বে ফ্লাইং ক্লাব থেকে স্নাতক পাশ করেছেন আয়েশা। প্রশিক্ষণ চলাকালীন তিনি ২০০ ঘণ্টা সিঙ্গেল ইঞ্জিনের একটি বিমান চালিয়েছেন। চোখে মহাকাশে ভেসে বেড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে ইতোমধ্যেই মিগ-২১ ওড়ানোর জন্য তিনি আবেদন করেছেন রাশিয়ান এজেন্সির কাছে।
ছেলেবেলায় বিমানে চড়া থেকেই নিজে হাতে বিমান ওড়ানোর ইচ্ছে আয়েশার মাথায় চেপে বসে। তিনি বললেন, পাইলটদের দেখে আমার খুব ভালো লাগত। যত বড় হয়েছি, সেই ভালো লাগাটা ততই বেড়েছে। এরপর আর কোনোদিকে না তাকিয়ে বম্বে ফ্লাইং ক্লাবে চলে আসি। যেদিন বাবা-মাকে নিয়ে প্রথম বিমান চালালাম, সেদিন স্বাধীনতার তৃপ্তি উপভোগ করেছি।
তার সাফল্যের পুরো কৃতিত্ব বাবাকেই দিয়েছেন আয়েশা। বাবা আবজুল আজিজের কথায়, আমি চিরকাল এটাই বিশ্বাস করে এসেছি যে জ্ঞান ও অনুসন্ধিত্সা মানবজাতির উন্নতির একমাত্র চাবিকাঠি। যদি আমার সন্তান পূরণ করা যায় এমন কোনো স্বপ্ন দেখে, তবে আমাকেও সেই প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে তা পূরণে সাহায্য করতে হবে।
আয়েশাকে নানা সময়ে নানা কথা শুনতে হয়েছে। একজন মুসলিম কন্যাকে হিজাব ছাড়া থাকা উচিত নয় বা একজন কাশ্মীরী মেয়ের পক্ষে পাইলটের পেশা যথাযথ নয় ইত্যাদি। কিন্তু কোনো কথাতেই কান না দিয়ে নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকেছেন আয়েশা। তবে তার মতে, নারীদের অবশ্যই তাদের কমফোর্ট জোন থেকে বের করে আনতে হবে। শুধু শিক্ষিকা বা ডাক্তারই নয়, তার থেকেও আরো বেশি চ্যালেঞ্জিং পেশায় যেতে পারেন নারীরা।
২০১২ সালে নাসায় গিয়ে মহাকাশচারীর প্রশিক্ষণও নিয়ে এসেছেন কাশ্মীরী এই মেয়ে। সেখানে তার দেখা হয়েছে সুনীতা উইলিয়ামস ও জন এম্যাকব্রাইডের সঙ্গে। সূত্র: এই সময়
মন্তব্য চালু নেই