এই ওয়ার্নারকে থামাবে কে?
সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার।
বৃহস্পতিবার পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে তিনি করেছেন ১৭৯ রান, মাত্র ১২৮ বলে।
১৯ চার ও ৫ ছক্কার এই শতকের পথে ওয়ার্নার গড়েছেন ক্যারিয়ারের দ্রুততম শতকের রেকর্ড। তিনি মাত্র ৭৮ বলে শতক তুলে নেন। ওয়ার্নারের আগের দ্রুততম শতক ৯২ বলের।
শুধু তাই নয়, মাত্র তিন রানের জন্য ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড ভাঙতে পারেননি ওপেনিং জুটির বিশ্ব রেকর্ড। তারা দু’জনে পাক বোলারদের ওপর টর্নেডো বইয়ে গড়েন ২৮৪ রানের জুটি।
ওপেনিং জুটির বিশ্ব রেকর্ড এখনও শ্রীলংকার সনাথ জয়সুরিয়া ও উপল থারাঙ্গার দখলে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০৬ সালে তারা করেছিলেন ২৮৬ রান।
ওপেনিং জুটির শতকে ভর করে অস্ট্রেলিয়া পাকিস্তানের সামনে জয়ের জন্য ৩৭০ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে।
ট্রাভিস হেড ১৩৭ বলে ৯ বাউন্ডারি ও তিন ছক্কায় করেন ১২৮ রান। অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে থামে ৩৬৯ রানে।
পাক বোলারদের মধ্যে জুনায়েদ খান ও হাসান আলী দুটি করে উইকেট পেয়েছেন। এজন্য জুনায়েদে ৬১ এবং হাসানকে ১০০ রান খরচা করতে হয়েছে।
এর আগে চতুর্থ ওয়ানডেতেও ওয়ার্নার খেলেন ১৩০ রানের ঝলমলে ইনিংস। আর সিরিজের তিন টেস্টে দুটি শতক (১১৩ ও ১৪৪) করেছেন তিনি।
৪৩ বলে ৮৯ রানের দারুণ ইনিংস দিয়ে অভিষেক হয় ওয়ার্নারের। এরপর এতদিন ওয়ানডেতে তার সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি ছিল ৯২ বলে। অথচ টেস্টেই ৬৯ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে ওয়ার্নারের।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিডনি টেস্টেই ৭৮ বলে করেন সেঞ্চুরি। কিন্তু ওয়ানডেতে নিয়মিত ঝড় তুললেও সেই ইনিংসগুলো সেঞ্চুরি পর্যন্ত যাচ্ছিল না।
আজ তো প্রথম বলেই শূন্য রানে ফিরতে পারতেন। কিন্তু মোহাম্মদ আমিরের বলে দ্বিতীয় স্লিপে তার ক্যাচ ফেলে দেন অধিনায়ক আজহার আলী।
সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ওয়ার্নার ১১ চার, দুই ছয়ে ৭৮ বলে সেঞ্চুরি তুলে নাম লেখান অ্যালান বোর্ডারের পাশে। শেষ পর্যন্ত থামেন ১৭৯ রানে। এতে যোগ করেন আরও ৮টি চার ও তিনটি ছক্কা।
ওয়ার্নারের আগে ১৯৮৫ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে ওভারের এ মাঠে ৭৮ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন সাবেক অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডার।
আজকের সেঞ্চুরিটা দিয়ে এ মৌসুমে ওয়ার্নার ওয়ানডেতে ষষ্ঠ সেঞ্চুরি পেলেন, মাত্র ১১ ম্যাচে। ২০১৪-১৫ মৌসুমে ছয় সেঞ্চুরিতে এতদিন এককভাবে রেকর্ডটি ছিল কুমার সাঙ্গাকারার। এখন সেটি নিজের করে নেয়ার সময় ওয়ার্নারের।
মন্তব্য চালু নেই