এই আশ্চর্য জনক গাড়ি প্লেনের চেয়েও দ্রুত গতিতে ছুটতে সক্ষম
অ্যাভেন্তাদোর রোডস্টারের দিকে তাকালে প্রথমেই মন জয় করে নেয় এর চোখ ধাঁধানো ডিজাইন। কিন্তু দর্শনে মুগ্ধ হওয়ার পরে এর গুণ বিচার করতে বসলেও মুগ্ধ হতে হয়।
পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রতগামী যান কোনটি? এরোপ্লেন? উঁহু, ভুল। কয়েকদিন আগে পর্যন্ত এই উত্তর হয়তো ঠিক ছিল। কিন্তু আপাতত বিজ্ঞানের কল্যাণে তৈরি হয়ে গিয়েছে এরোপ্লেনের চেয়েও দ্রুতগামী যান। এবং আকাশে নয়, সেই যানটি ছুটবে রাস্তা দিয়েই। আজ্ঞে হ্যাঁ, বিখ্যাত গাড়ি কোম্পানি ল্যাম্বারগিনি তৈরি করেছে এমন গাড়ি, কোম্পানির দাবি, যা ছুটতে পারে একটি যাত্রীবাহী এরোপ্লেনের চেয়েও দ্রুত গতিতে।
বিলাসবহুল গাড়ির নির্মাতা হিসেবে ল্যাম্বারগিনি অনেকদিন ধরেই বিশ্ববিখ্যাত। এবার কোম্পানি জানাল, তাদের তৈরি করা নতুন পাঁচটি গাড়ি জেট প্লেনের চেয়েও দ্রুত গতিতে ছুটতে সক্ষম। অ্যাভেন্তাদোর রোডস্টার নামের একটি নতুন গাড়ির ব্র্যান্ড বাজারে এনেছে ল্যাম্বারগিনি। সেই ব্র্যান্ডের গাড়িই জেট প্লেনের চেয়েও দ্রুতগামী বলে দাবি করছে কোম্পানি।
অ্যাভেন্তাদোর রোডস্টারের দিকে তাকালে প্রথমেই মন জয় করে নেয় এর চোখ ধাঁধানো ডিজাইন। কিন্তু দর্শনে মুগ্ধ হওয়ার পরে এর গুণ বিচার করতে বসলেও মুগ্ধ হতে হয়। কিছুদিন আগে ল্যাম্বারগিনি দু’টো গ্রুপকে দায়িত্ব দেয় গাড়িটির সর্বোচ্চ গতিবেগ পরীক্ষা করে দেখার। মার্কিন ফেডেরাল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও মায়ামি ডেড কাউন্টির কাছ অনুমতি আদায় করা হয় এরোপ্লেনের রানওয়েতে এই গাড়ির সর্বোচ্চ গতি পরীক্ষা করার। সেই রানওয়েতে এই গাড়ি ছুটিয়ে দেখা যায়, গাড়িটি সর্বোচ্চ ২১০ মাইল প্রতি ঘন্টা গতিতে ছুটতে সক্ষম। সেখানে একটি প্যাসেঞ্জার প্লেনের গড় গতি হল ঘন্টায় ১৫০ থেকে ১৮০ মাইল। কাজেই প্লেনকে অনায়াসে গতির দৌড়ে টেক্কা দিতে সক্ষম এই চার চাকা।
কিনতে চান এই গাড়ি? দাম অবশ্য একটু বেশিই পড়বে, সাড়ে ৩ লক্ষ মার্কিন ডলার। টাকার হিসেবে ২ কোটি ৩৩ লক্ষের মতো। তা প্লেনের চেয়েও দ্রুত গতিতে ছুটতে চাইলে একটু বেশি গাঁটের কড়ি তো খসাতেই হবে, তাই না? -এবেলা।
মন্তব্য চালু নেই