চেয়ারম্যান, অধ্যাপক ও ইয়াবা ব্যবসায়ীসহ আসামী ৮১

উখিয়ায় বিজিবির উপর হামলার ঘটনায় মামলা : আটক ৩, পুরুষ শূণ্য এলাকা

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী কাকড়া ব্রীজ এলাকায় রোহিঙ্গা দালাল চক্রের হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী, বঙ্গমাতা মহিলা কলেজের অধ্যাপক নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো ও সাবেক মেম্বার বখতিয়ার আহমদসহ ৮১ জনকে আসামী করা হয়েছে। পুলিশ-বিজিবি ও র‌্যাব শুক্রবার রাতে যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করে গতকাল শনিবার আদালতে প্রেরণ করেছে।

গ্রেপ্তার এড়াতে এলাকার লোকজন আত্মগোপন করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান করায় বালুখালী গ্রাম এখন পুরুষ শূণ্য হয়ে পড়েছে। পুলিশ বলছে এজাহারনামীয় আসামী গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য যে, গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ৬টি চাঁদের গাড়ীতে করে ৩/৪ শতাধিক অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশু কক্সবাজার যাওয়ার পথে বিজিবি তল্লাসী চালিয়ে ১০৮ জন মিয়ানমারের নাগরিকসহ ২টি চাঁদের গাড়ী আটক করে। এসময় অন্যান্য ৬/৭টি চাঁদের গাড়ী রাস্তায় ব্যারিকেট দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ৩০/৩৫ স্থানীয় লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় তৈরি অস্ত্র সহ ঘটনাস্থলে এসে অর্তকিত ভাবে বিজিবি’র উপর হামলা চালিয়ে ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করে।

ঘটনাস্থলে বিজিবি’র সুবেদার ফজলুল হক গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। এসময় আগামীদের ছুঁেড় মারা ইট, পাটকেলে সিপাহী মোহাম্মদ আয়ুব আলী, হাবিলদার মোঃ জাকির হোসেন ও বিল্লাল হোসেন সহ ৪ জন আহত হয়।

এসময় আত্মরক্ষার্থে ও অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে বিজিবি ৪ রাউন্ড গুলিবষর্ণ করে। ঘটনাস্থল থেকে বিজিবি ২টি চাঁদের গাড়ী জব্দ করে। এ ঘটনায় হাবিলদার জাকির হোসেন বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ৪৬ জন ও অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

শুক্রবার রাতে বিজিবি-পুলিশ-র‌্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে শাহ আলমগীর (৩৫), মোঃ ফয়সাল(৩০) ও শাহাব উদ্দিন (৩৫) কে আটক করে। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম খান জানান, আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাসী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই