পাহাড় কেটে বাঁধ নির্মাণ
উখিয়ায় বনভূমির ১শ একর জায়গা জবর দখল
উখিয়ার থাইংখালী বনবিটের আওতায় তেলখোলা বড় কাটা এলাকায় পাহাড় কেটে বাঁধ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এলাকার ৪০ জন ভূমিদস্যুর একটি সংঘবদ্ধ চক্র মোটা অংকের টাকায় অন্যত্রে হস্তান্তরের ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ১শ একর বনভূমি দখলে নিয়েছে।
দুর্বৃত্তরা শতাধিক শ্রমিক দিয়ে গাছপালা কর্তন ও আগুন দিয়ে বনজঙ্গল পুড়িয়ে ফেলছে। এ নিয়ে এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল বিরোধ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বনবিট কর্মকর্তা জানান, ভূমিদস্যুরা বনবিটের লোকবল সংকটের সুযোগ নিয়ে বনভূমি দখল করছে।
গতকাল রোববার সকালে সরেজমিন থাইংখালী বনবিটের তেলখোলা বড় কাটা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আগুনের লেলিহান চিহ্ন। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৪০ সদস্যের একদল ভূমিদস্যু প্রায় ১শ একর বনভূমি ও পানের বরজে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলেছে।
পাহাড় কেটে প্রবহমান ছরার উপর বাঁধ নির্মাণ করে জমির শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে চাষাবাদের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ বিধবা মীর নাহার খাতুন (৪৫) জানান, ভুমিদস্যুরা তার পানের বরজটি আগুন দিয়ে বনভূমির জায়গা দখলে নিয়েছে।
একই এলাকার আরেক মহিলা মরিয়ম খাতুন জানান, দুর্বৃত্তরা দীর্ঘ দিনের বসত বাড়ি ভাংচুর করেছে বনভূমির জায়গা দখলে নেওয়ার জন্য।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লোকজন জানান, স্থানীয় তেলখোলা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে সোনা আলী ও তার ছেলে মদন আলীর নেতৃত্বে ৪০ সদস্যের একটি সিন্ডিকেট বনভূমি দখল করে বেঁচা-বিক্রির মাধ্যমে তারা এলাকায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আসছে দীর্ঘ দিন থেকে।
সম্প্রতি এলাকার গরিব জনসাধারণের দীর্ঘ দিনের কাঙ্কিত পানের বরজ, ক্ষেত খামার ও বসত বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দিয়ে প্রায় ১শ একরের মত বনভূমি দখল করে নিয়েছে।
এ ঘটনা অস্বীকার করে সোনা আলী জানান, সে একজন বন বিভাগের তালিকাভুক্ত ভিলেজার। থাইংখালী বন বিভাগ থেকে প্রাপ্ত ৫ কানি জমিজমার উপর বসত বাড়ি তৈরি করে স্বপরিবারে বসবাস করে আসছে প্রায় ৫০ বছর ধরে।
প্রতিপক্ষ একটি মহল তাকে বিপদে ফেলার জন্য মরিয়া হয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে থাইংখালী বনবিট কর্মকর্তা আব্দুল মন্নান জানান, থাইংখালী বনবিটের লোকবল সংকটের সুযোগে স্থানীয় কিছু জবর দখলকারী ও প্রভাবশালী কতিপয় ব্যক্তিবর্গ বনভূমির জায়গা দখল করছে।
এ ব্যাপারে বেশ কয়েকটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। থাইংখালী বড় কাটা এলাকায় পাহাড় কেটে মাটির বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি তার জানা নেই বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
মন্তব্য চালু নেই