প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢল
উখিয়ার ৪৮ কিলোমিটার গ্রামীণ জনপদ লন্ডভন্ড
ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে উখিয়ার ৫ ইউনিয়নের প্রায় ৪৮ কিলোমিটার গ্রামীণ জনপদ। এসব জনপদের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে এখনো পানিবন্দি হয়ে মানবেতর দিনযাপন করছে হাজারো মানুষ।
অনেক স্থানে নৌকা দিয়ে যোগাযোগ রক্ষা করলেও প্রত্যন্ত জনপদের অধিকাংশ গ্রাম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিন পালংখালী এলাকা ঘুরে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঠিকাদারের গাফেলতির কারণে বটতলী, ফারিরবিল সড়কে নির্মাণাধীন কার্পেটিং সড়ক বন্যা ও ঢলের পানিতে ছিন্নভিন্ন হয়ে এসব এলাকার জনগণকে অসহনীয় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় ইউ,পি, সদস্য কামাল উদ্দিন মেম্বার জানান, সড়কটি নির্মাণের নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ার কারণে বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়াও পালংখালী মোছারখোলা সড়কের ৩ কিলোমিটার রাস্তা ব্রিক সিলং উপড়ে গিয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এদিকে থাইংখালী রহমতের বিল সড়ক, থাইংখালী আনজুমানপাড়া সড়ক ও থাইংখালী তেলখোলা সড়কের ৩ কিলোমিটার রাস্তা এখন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
এ সড়কের ৩টি কালভার্ট বন্যার পানিতে ধ্বসে পড়েছে। স্থানীয় ইউ,পি, সদস্য মানিক চাকমা জানান, এলাকার বৃহত্তর নৃতাত্ত্বিক গরিব জনগোষ্ঠী এ সড়ক ব্যবহার করে থাইংখালী হয়ে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিল। সম্প্রতি এক কিলোমিটার রাস্তা কার্পেটিং করা হলেও বাদ বাকী ২ কিলোমিটার রাস্তা বন্যা ও ঢলের পানিতে চলাচল অনপুযোগী হয়ে পড়ায় তেলখোলা গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে।
এছাড়া রাজাপালং বটতলী হয়ে হরিণমারা ২ কিলোমিটার রাস্তা অকেজো হয়ে পড়েছে। এ রাস্তায় ব্রিক সলিং করা হলেও তা এখন নেই। স্থানীয় কতিপয় কৃষক রাস্তা কেটে ফসলী জমি ও খালের ভাঙ্গনে রাস্তা দীর্ঘ সংকুচিত হয়ে পড়ায় অনেক স্থানে রিকশা ও টম টম পারাপার দুরহ হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় ইউ,পি, সদস্য রুহুল আমিন মেম্বার জানান, সড়কটি ব্রিক সলিং করে চলাচল উপযোগী করার জন্য উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরে বেশ কয়েকবার আবেদন করা হলেও কোন কাজ হয়নি। যার ফলে হরিণমারা ও বৃহত্তর আমিনপাড়া গ্রামের ৫ হাজার মানুষকে বর্ষাকালে পানিবন্দী হয়ে মানবেতর দিনযাপন করতে হয়।
এদিকে রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদ হয়ে তুতুরবিল ও হিজলিয়া হয়ে রাজাপালং কাশিয়ারবিল ও তুতুরবিল সহ বৃহত্তর এলাকার সর্বসাধারণের যাওয়া আসার একমাত্র রাস্তাটি প্রবল বর্ষণে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে।
রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী জানান, এ উপজেলার ৫ ইউনিয়নের প্রায় ৪৮ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এলাকার জনসাধারণকে আসা যাওয়া ক্ষেত্রে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এএইচএম মাহফুজুর রহমান জানান, বন্যা পরবর্তী এলাকার জনচলাচলের ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা গুলোর প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই