সংস্কার ব্যয় বরাদ্ধ ৫ কোটি

উখিয়ার উপকূলীয় সৈকত সড়কের বেহাল দশা

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্যটন স্পট উখিয়ার কোটবাজার হয়ে মনখালী পর্যন্ত সৈকত সড়কটি খানা-খন্দকে একাকার হয়ে পড়ার কারণে যানবাহন চলাচল মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সৈকতের পাশ ঘেষে এলজিইডি কর্তৃক গড়ে তোলা দীর্ঘ ২৮ কিলোমিটার এ সড়কের প্রায় শতাধিক স্পটে ছোটবড় গর্ত ও ব্রীজ-কালভার্টের সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে পর্যটন পিপাসু দর্শণার্থীরা। এতে করে পর্যটন শিল্প নিয়ে বিদেশী পর্যটকদের কাছে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন পরিবেশবাদী সচেতন মহল।

সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিমার্ণাধীন কক্সবাজার কলাতলী থেকে টেকনাফ পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়কের নিমার্ণ কাজ শেষ না হওয়ায় এলজিইডি সৈকত সড়কটি স্থানীয় ও দেশী বিদেশী পর্যটকদের কাছে অত্যান্ত গুরুত্ববহন করছে বলে এলাকাবাসীর দাবী। এলজিইডি সড়কের মাত্র ১শ’ মিটার দূরত্বে গড়ে ওঠা সৈকত সড়ক ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত শত শত যানবাহন চলাচল করছে। পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকায় উৎপাদিত পান-সুপারী, শাক সবজি সহ সাগর থেকে আহরিত মাছ সম্পদের মাধ্যমে জীবন জীবিকার নির্বাহ করছে এলাকার প্রায় ৫০ হাজার পরিবার। মনখালী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুলতান আহমদ ও মাদারবনিয়া গ্রামে বসবাসরত ইউপি সদস্য জাহেদ মেম্বার জানান, সড়কটির প্রায় শতাধিক স্পটে ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কের কাপেটিং উঠে যাওয়ার কারণে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায় সড়কের পার্শ্বস্থ জমি জমার মালিকেরা তাদের জমির পরিধি সম্প্রসারণরে জন্য এলজিইডি সৈকত সড়কটি বছর বছর কেটে ফেলার কারণে সড়কটি ক্রমশ সংকুচিত হয়ে উঠছে।

উপজেলা প্রকৌশলী মোস্তফা মিনজাহ জানান, কোট বাজার থেকে মনখালী পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার ও শামলাপুর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার দুটি প্যাকেজে উক্ত সড়কটি সংস্কার করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কক্সবাজার উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনালকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া মাত্র সংস্কার পূর্বক যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে তুলার জন্য উক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৫ বছরের জন্য দায়বদ্ধতা রয়েছে। উক্ত সড়ক তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-সহকারি প্রকৌশলী আশরাফ আলী জানান, সড়ক সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সড়কের উপকরণ ও মালামাল মজুদ করেছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনাল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী আতিকুল ইসলাম সিআইপি জানান, উক্ত সড়কটি সব সময় যানবাহন চলাচল উপযোগী রাখার জন্য প্রায় ২ শতাধিক কর্মচারী, সে অনুপাতে সড়কের উপকরণসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি মজুদ রাখা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই