ঈদ-উল-আযহার আগে মনে রাখুন এই বিষয়গুলো
প্রতি বছর ঈদ আসে, ঈদ যায়। নতুন করে আবার সারাটা বছর অপেক্ষা করি আমরা পরবর্তী ঈদের। কারণ এই ঈদ আমাদের সবার জন্যেই নিয়ে আসে আনন্দ আর খুশির বারতা। কিন্তু আপনার এই আনন্দময় ঈদ আরো একটু বেশি আনন্দে ভরপুর হয়ে উঠতে পারে যদি ঈদের আগের রাতে কিছু বিষয় খেয়াল রাখেন আপনি। কী সেই বিষয়গুলো? চলুন জেনে আসি সেই বিষয়গুলোকে যেগুলো এ বছরের কোরবানীর ঈদকে আরো একটু পরিপূর্ণতা দিতে সাহায্য করবে আপনাকে।
১. ঈদের নামাযের সময় ও স্থানকে ভালোভাবে বুঝে নিন
ঈদের নামাযে যাওয়ার জন্যে সবার ভেতরেই তাগাদা কাজ করলেও কখনো কখনো ঘড়ির গোলমাল, ঘুম বা সময় না জানার কারণে ঘুম থেকে উঠেই তাড়াহুড়োর ভেতরে পড়ে যেতে হয়। তাই ঈদের আগের রাতেই সময় ঠিক করে নিন নামায পড়ার আর ঘড়ির এ্যালার্মও দিয়ে রাখুন ঠিকঠাকভাবে। অনেকে নতুন স্থানে নামায পড়তে এসে ঈদগাহের পথ হারিয়ে ফেলেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি এলাকায় নতুন হন তাহলে ঈদের আগের দিনই কোথায় নামায পড়তে যাবেন সেটা দেখে আসুন একবার।
২. পোশাক যাচাই করে নিন
ছোটদের ভেতরে ঈদের আগের রাতে পোশাক, আতর, টুপি, জুতো- এসব গুছিয়ে মাথার কাছে রেখে দেওয়ার একটা প্রবণতা কাজ করে। তবে আপনি ছোট না হলেও এই একই কাজটি করে দেখতে পারেন। ঈদের সকালে পোশাক আর জুতো নিয়ে ঝামেলা হতেই পারে। সেটার হাত থেকে রেহাই পেতে অন্তত ঈদের আগের দিনেই জামাটা ঠিক আছে কিনা, তৈরি আছে কিনা পরিধান করার জন্যে সেসব দেখে দিন। আয়রন বা সেলাইয়ের মতন কোন কাজই যেন ঈদের দিনের জন্যে পড়ে না থাকে।
৩. খাবার প্রস্তুত করে ফেলুন
ঈদের আগের রাতেই পরদিন সকাল ও দুপুরের খাবারের কাজটা একটু হলেও এগিয়ে রাখুন। কারণ, ঈদের দিন প্রচুর পরিমাণ কোরবানীর মাংসের ধকল সামলাতে গিয়ে রান্নার কাজটা নাও আগাতে পারে। চেষ্টা করুন ঈদের আগের রাতেই মাংস রান্না করে ফেলার। কোরবানীর ঈদে সবাই দুপুর বেলা মাংস দিয়ে ভাত খেতে চাইলেও সেটা অনেক সময় সম্ভব হয়না। আর এর পেছনে কারণ হিসেবে কাজ করে, দেরীতে মাংস বাসায় আসা কিংবা সেগুলোর কোটা-বাছা করতে গিয়ে চলে যাওয়া সময়। কিন্তু ঈদের দিন মাংস না খেলে কি হয়? তাই আগে থেকেই খানিকটা মাংস রান্না করে রাখুন পরের দিনের জন্যে।
৪. বাচ্চাদের দায়িত্ব ভাগ করে নিন
ঈদের দিন নামাযে বা বাইরে কেবল বড়রাই নন, যায় শিশুরাও। আর শিশুটি যদি হয় যৌথ পরিবারের সেক্ষেত্রে তার ওপর খেয়াল রাখার বিষয়টি হয়ে পড়ে অনেক বেশি কঠিন। কারণ, যৌথ পরিবারে মানুষ যেমন অনেক, শিশুও তেমনি অনেক হয়ে থাকে। তাই ঈদের আগের রাতেই কে কোন শিশুর দায়িত্ব নেবে, কার সাথে কোন শিশু নামাযে যাবে সেটা ঠিক করে নেওয়াটাই বুদ্ধির কাজ।
মন্তব্য চালু নেই