ঈদে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে চলবে ২৩ লঞ্চ
কল্যাণ কুমার চন্দ, বরিশাল : ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার নারী টানে বাড়ি ফেরা দক্ষিণাঞ্চলের লাখো যাত্রীদের সুবিধার্থে সবচেয়ে বেশি লঞ্চ ও জাহাজ যুক্ত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-বরিশাল নৌ-রুটে এবারের ঈদে বেসরকারি কোম্পানির ১৭টি লঞ্চ সরাসরি ঢাকা-বরিশাল রুটে যাত্রী পরিবহন করবে। এরমধ্যে পারাবত কোম্পানির ৫টি, সুন্দরবন কোম্পানির ৩টি, সুরভী কোম্পানির ৩টি, কীর্তনখোলার ২টি, টিপুর ১টি, ফারহানের ১টি, কালাম খানের ১টি, দীপরাজের ১টি। দিবাসার্ভিসের গ্রীন লাইন ওয়াটার ওয়েজের ২টি জাহাজ এ রুটে যাত্রী পরিবহন করবে। এছাড়া চাঁদপুর-বরিশাল ভায়া ফতুল্লা হয়ে সুন্দরবন, ফারহান, পূবালীসহ ৪টি লঞ্চ চলাচল করবে। পাশাপাশি সরকারী জাহাজ সার্ভিসে বিআইডব্লিউটিসি’র পিএস মাহসুদ, অষ্ট্রিজ, লেপচা, নামের ৩টি রকেট ও নতুন সংযুক্ত এমভি মধুমতি, এমভি বাঙালীসহ মোট ৫টি জাহাজ যাত্রীপরিবহন করবে।
সূত্রমতে, অন্যান্য বছরগুলোতে ঈদ-উল ফিতর ও আযহার সময় দক্ষিণের লাখো মানুষ নাড়ির টানে রাজধানী ঢাকা থেকে বরিশাল ও আশপাশের জেলার মানুষ নৌ-পথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়িতে ফিরেন। বিগতদিনে যাত্রীদের ভোগান্তির অভিজ্ঞতা থেকে এবারই সর্বপ্রথম ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে সবচেয়ে বেশি লঞ্চ ও জাহাজ চলাচলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সূত্রে আরও জানা গেছে, ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ২৮টি নৌ-রুটের মধ্যে ঢাকা-বরিশাল নৌপথকে নিরাপদ হিসেবেই ধরা হয়ে থাকে। তাই এ অঞ্চলের মানুষ লঞ্চেই যাতায়াত বেশি করায় ঈদ মৌসুমে যাত্রী চাঁপ বেশি থাকে। যুগের সাথে তালমিলিয়ে ইতোমধ্যে বিলাসবহুল বৃহৎ আকারের লঞ্চ যুক্ত হচ্ছে এ রুটের নৌ-বহরে।
অপরদিকে এবার ঢাকা-বরিশাল সড়কপথে ঈগল, হানিফ, সাকুরা, গোল্ডেনলাইন, সোনারতরী, মেঘনাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবহন যাত্রীসেবা প্রদান করবে। পাশাপাশি মাওয়া-বরিশাল রুটে রয়েছে বিআরটিসি এসি বাস সার্ভিস। তবে নতুন করে যাত্রীসেবায় ঢাকা-বরিশাল সড়কপথে ডিপজল পরিবহনের এসি বাস সার্ভিস চালু হওয়ার কথা রয়েছে। আকাশপথে প্রথমবারের মতো নভো এয়ার, ইউএস বাংলা ও বাংলাদেশ বিমান একত্রে নিয়মানুযায়ী তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করবেন। প্রয়োজনে ইউএস বাংলা তার ফ্লাইট বাড়াতে পারে। একসাথে এতো সার্ভিসের ফলে এবারে যাত্রীর চাঁপ অনেকাংশে কম হওয়ার আশংকা করছেন লঞ্চ মালিকরা।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও সুন্দরবন নেভিগেশনের সত্ত্বাধিকারী সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, এ বছর অন্যসব সময়ের চেয়ে বেশি লঞ্চ থাকবে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে। বহরে থাকবে তিনটি কোম্পানির সবচাইতে বড় ও আধুনিক বিলাশ বহুল নৌযান। যার কারনে যাত্রীর চাঁপ কমে যাবে। আবার দিবাসার্ভিস, সরকারী রকেট সার্ভিস, সড়কপথ ও আকাশপথের সুযোগ সুবিধা বাড়ার কারনে আগের মতো আর লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করতে হবেনা। তার পরেও স্পেশাল সার্ভিস শুরুর পর থেকে ঈদেরদিন পর্যন্ত কয়েক লাখ যাত্রী বরিশালে আসবেন বলেও তিনি ধারনা করছেন। এদিকে যাত্রী কম বেশি যাই হোক না কেন, বরিশাল নৌ-বন্দর ও এর আশপাশের সার্বিক নিরাপত্তাসহ যাত্রীদের শতভাগ সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি স্পেশাল সার্ভিসের আগেই নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য চালু নেই