ঈদের পর সরকার পতনের নতুন কর্মসূচি : খালেদা জিয়া

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, জনগণ এখন জানতে চায়, এই অবৈধ সরকার কখন বিদায় নেবে? বিদেশিরাও দ্রুত নির্বাচন চায়। তাই এ সরকারকে হঠাতে ঈদের পর নতুন কর্মসূচি দেয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি দেশের জনগণ এমনভাবে রাজপথে নেমে আসবে তখন ক্ষমতাসীন সরকার আর অস্ত্র চালাতে পারবে না। তাদের অস্ত্র স্তব্ধ হয়ে যাবে। এমনিতেই সরকাররের পায়ের নিচে মাটি নেই। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে সরকার পালানোর পথ পাবে না।’

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগীয় উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যে আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আপনারা নির্বাচিত হয়েছেন এ অবৈধ সরকার আপনাদের তা করতে দেবে না। জনগণ এ সরকারের বদৌলতে নির্যাতিত, নিগৃহীত। দেশে গণতন্ত্র নেই। এ সরকারের উদ্দেশ্যই হচ্ছে খুন, গুম আর জালিয়াতি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা জানি এ সরকার অবৈধ সরকার। এদের কাছে কোনো দায়বদ্ধতা আশা করা যায় না। এদের কাছে গণতন্ত্র আশা করা যায় না।’

তিনি আরো বলেন, ‘এরা (আ.লীগ) জনগণের উন্নয়ন করে না, করে নিজেদের উন্নয়ন। এদের এমপিরা কোনো উন্নয়ন করে না, উন্নয়নের টাকা নিজেদের পকেটে নেয়। টাকার বিনিময়ে এ সরকারের আমলে মানুষ খুন থেকে শুরু করে সবকিছু করা হয়।’

বেগম জিয়া বলেন, ‘যেখানে প্রশাসন জনগণের নিরাপত্তা দেয়ার কথা সেখানে প্রশাসন অবৈধ সরকারের কথায় সাধারণ জনগণকে গুম করে হত্যার পর নদীতে ফেলে দিচ্ছে। এই হলো দেশের অবস্থা। যেখানে কমিশনের ভাগ পাওয়া যায় সেখানে কাজ করে এ সরকার।’

মতবিনিময় সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আসম হান্নান শাহ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকতুল্লাহ বুলু, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, মো. শাজাহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগের নবনির্বাচিত অর্ধশাতধিক উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান।



মন্তব্য চালু নেই