ঈদের দিনে যে ব্যাপারগুলো মনে রাখা দরকার
ঈদ মুসলমানদের জীবনে একটি বিশেষ দিন। বছরের দুইটি মাত্র ঈদ- ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা। ঈদ মুসলমানদের জন্য একটি মিলনমেলাও বটে। ঈদুল ফিতরে তেমন কোনো নিয়মনীতি না থাকলেও ঈদুল আজহাতে কোরবানির একটি ব্যাপার রয়েছে।
কোরবানি বাড়ির কর্তা বা অন্য কোনো সদস্যের নিজ হাতে করা উত্তম। বাড়ির গবাদি পশুও কোরবানি করা উত্তম। তবে যিনি কোরবানি করেন বা যার নামে কোরবানি করা হয় সেই দুজন ব্যক্তিকেই কোরবানি না হওয়া অবধি না খেয়ে থাকতে হয়। ঈদের নামাজ পড়ে কোরবানি দিয়ে তারপর খাবার গ্রহণ করতে হয়।
বর্তমানে বেশিরভাগ বাড়িতে পশু জবাই এবং মাংস কাটাকাটির জন্য কসাইদেরকে ভাড়া করে আনা হয়। এতে করে বাড়ির কর্তাদের নিজ হাতে কোরবানি দেওয়ার নিয়মটা অনেকটা উঠে গেছে। আর সুবিধার দিক হচ্ছে, সময় ও শ্রম বাঁচিয়ে লোক ভাড়া করে কাজ করে নেওয়া যাচ্ছে।
কোরবানির ব্যাপার তো গেল এরপর সারাদিন ঘোরাঘুরি আর খাওয়া দাওয়া। কোরবানির ঈদে প্রায় সব বাড়িতেই মোটামুটি দুপুর পর্যন্ত কোরবানি করা, মাংস কাটা এবং মাংস ভাগ ও বন্টনের ব্যাপারটা চলতে থাকে। তাই নিজের বাড়ির মাংস বন্টনের কাজ শেষ করে তারপর ঘুরতে যাওয়া উচিত।
ঈদের দিন সব বাড়িতেই মাংসের বিভিন্ন প্রকার পদের সমাহার দেখা দিবে। সঙ্গে মিষ্টি ও অন্যান্য খাবার তো থাকছেই। তবে খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে একটু সতর্ক হোন। অনেক জায়গার ঘোরাঘুরি করবেন নিশ্চয়ই তাই পেটের আন্দাজ মতো খাবার খান। বেশি খেলে আপনারই অস্বস্তি হবে বা কাজ করতে এবং ঘোরাঘুরি করতেও বিরক্ত লাগবে।
তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। যাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কোলেস্রের রল ও উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারা গরুর মাংস থেকে দূরে থাকুন। আর খেলেও চেষ্টা করবেন পরিমাণে কম খাওয়ার। মিষ্টি জাতীয় খাবার অন্য খাবারকে তাড়াতাড়ি হজম করে ফেলে। এছাড়া অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে আসিডিটি হতে পারে। তাই বেশি বেশি করে পানি পান করুন। এতে অন্তত পক্ষে আপনার পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকবে।
ঈদের দুই একদিন আগে থেকে ঢাকা ফাঁকা হতে শুরু করে। ঈদের দিন ঘোরাঘুরির জন্য রিকশা অন্যরকম ভালোলাগা দিতে পারে। ফাঁকা রাস্তা, খোলা বাতাস আর রিক্সার গতি, জীবনটাকে অন্য রকম মনে হবে। তবে আপনার এই অন্য রকম জীবনে বাঁধ সাধতে পারে রিকশার চড়া ভাড়া আর ছিনতাইকারীর দল। ঈদের দিনেও ছিনতাইয়ের সম্ভাবনা কম থাকে না তাই ঘোরাঘুরির সময় এই ব্যাপারে সাবধান থাকবেন।
সর্বোপরি ভালো কাটুক আপনার ঈদ। ঈদের দিন পশুর রক্ত এবং বর্জ্য যেখানে সেখানে ফেলবেন না। আমাদের শহর পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব আমাদের।
মন্তব্য চালু নেই