ঈদের ছুটিতে নাড়ির টানে ফিরতে শুরু করেছে ফুলবাড়ীর মানুষ
মুসলমানদের বড় উসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। আর ঈদের আনন্দ আপনজনকে নিয়ে উপভোগ করতে নাড়ির টানে ফিরতে শুরু করেছে ফুলবাড়ীর মানুষ।
ঈদের এখনো ৩ দিন বাকি। কিন্তু ঝামেলা এড়াতে আগেভাগেই বাড়ী ফিরছেন অনেকে। বিশেষ করে ছাত্র, গৃহবধু আর শ্রমজীবি মানুষের মধ্যে ঘরে ফেরার তাড়া বেশি। শেষ দিকে রাস্তায় যানজটের আশংকা, অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড় আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা ভেবে নাড়ির টানে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ।
গত সোমবার সকাল থেকে বাড়ী ফিরতে শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ। গতকাল বুধবার সকাল ও সন্ধ্যায় ফুলবাড়ীর বাস কাউন্টারে ও রেল স্টেশনে বাড়ী ফেরা মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
ঢাকা থেকে আসা এক বাস যাত্রী জানান, জীবিকার তাগিদে সারাবছর ইট-পাথরের এই শহরে থাকলেও ঈদের সময় ঠিকই বাড়িতে ফিরতে হয়, না হলে মনে হয় জীবনটাই অর্থহীন। আসার পথে রাস্তায় তেমন কোন জ্যামে পড়তে হয়নি, তবে সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া পর্যন্ত এবং গবিন্দগঞ্জের পরে কিছু কিছু জায়গায় রাস্তা খারাপ থাকায় বাসে অনেক ঝাঁকুনি হয়েছে। বাড়ী ফেরার আনন্দে তা তিনি ভুলে গিয়েছেন।
ঢাকা থেকে আসা ট্রেন যাত্রী জানান, তার মুখে ছিল বাড়ী ফেরার আনন্দ আর প্রতীক্ষার প্রবল ছাপ। কখন বাড়ী যাবেন, কখন কাছে পাবেন স্বজনদের। তিনি আরও বলেন, যেসব ট্রেনের যাত্রী আগেই অগ্রিম টিকিট কিনেছিল তারা অনেকটাই ঝামেলাহীনভাবেই যাত্রা উপভোগ করে বাড়ী ফিরেছে। আর যারা অগ্রিম টিকিট কাটতে পারেননি তাদেরকে দাড়ানো টিকিট কেটে বাড়ী ফিরতে হয়েছে।
ফুলবাড়ী রেল স্টেশন সূত্রে জানা যায়, গতকাল ১৫ জুলাই প্রত্যেকটা ট্রেনেই প্রায় যথাসময়ে ফুলবাড়ী রেল স্টেশনে পৌঁছেছে। আজ থেকে ঈদুর ফিতর উপলক্ষে শুরু হয়েছে ঈদের বিশেষ রেল সার্ভিস। আগামীকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়বে। সাধারণত ঈদের দুয়েকদিন আগেই চাপটা বেশি থাকে। তখন টিকেট কেনা না থাকলেও ছাদে উঠে হলেও মানুষ যাত্রা করে। ঈদ সামনে রেখে এবারও পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছে রেলওয়ে। এবার কোনো রকম সিডিউল বিপর্যয় হবে না বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ফুলবাড়ী ঢাকা বাস কাউন্টার নাবিল পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন ও হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর ম্যানাজারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের প্রায় সকল বাস যথাসময়ে ফুলবাড়ী পৌঁছেছে এবং ফুলবাড়ী থেকে ঢাকার উদ্দ্যেশে ছেড়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাস্তায় কোন জ্যামের খবর পাননি। তবে আগামী ২ দিন থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়বে তখন রাস্তায় জ্যামের কারণে হয়তো বাস যথাসময়ে ফুলবাড়ী পৌঁছাতে নাও পারে। তবে ঈদের আনন্দ আপনজনকে নিয়ে উপভোগ করতে নাড়ির টানে বাড়ী ফিরে রাস্তায় দূর্ভোগের কথা সবাই ভুলে যান।
মন্তব্য চালু নেই