ইসি কী নির্বাচন করতে চায়, প্রশ্ন বিএনপির

পৌর ভোটে সম্ভাব্য প্রার্থীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে অভিযোগ করে এ নির্বাচন কতটা প্রতিযোগিতামূলক হবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বিএনপি।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, “এভাবে গণগ্রেপ্তারের বিষয়ে আমরা প্রশ্ন রাখতে চাই, নির্বাচন কমিশন কী নির্বাচন করতে চায়?”

তিনি অভিযোগ করেন, সোমবার নান্দাইলের পৌর মেয়র এএফএম আজিজুল ইসলাম পিপুকে পুলিশ ‘কোনো কারণ ছাড়াই’ গ্রেপ্তার করেছে।

“নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর এভাবে মেয়র প্রার্থীদের গ্রেপ্তারে নির্বাচন কমিশন যদি চোখ-কান বন্ধ করে থাকে, তাহলে এ নির্বাচন আদৌ প্রতিযোগিতামূলক হবে না। এই নির্বাচন হবে সরকারের নীল নকশায় ভরপুর একটি নির্বাচন।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে ২৩৬টি পৌরসভায় মেয়র প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক নিয়ে লড়বেন। তবে কাউন্সিলর পদের প্রার্থীরা অংশ নেবেন আগের মতো নির্দলীয়ভাবে।

নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিপন অভিযোগ করেন, সারাদেশে পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

সোমবার পাবনায় ৯১ জন, দিনাজপুরে ৪ জন, সাতক্ষীরায় ২৫ জন এবং নেত্রকোণায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

“আমরা দাবি জানাচ্ছি, যারা নির্বাচনের আগে ও পরে গ্রেপ্তার হয়েছেন, সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। গণগ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে,” বলেন বিএনপির মুখপাত্র।

এক প্রশ্নের জবাবে রিপন জানান, পৌর নির্বাচনে দলের মেয়র প্রার্থীদের তালিকা তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

পৌর নির্বাচন ১৫ দিন পিছিয়ে দিতে বিএনপির দাবি নির্বাচন কমিশন নাকচ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন রিপন।

তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভাবতে চাই। তারা অক্ষমতা থেকে সক্ষমতা অর্জন করবে, এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।”

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহিন, তকদির হোসেন জসিম, মনির-উজ-জামান মনির সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই