ইসিকে শেষ সুযোগ গ্রহণের আহ্বান রিজভীর
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের বসিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষে এ আহ্বান জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিগত নির্বাচনগুলোতে নির্লজ্জভাবে শাসক দলের নকশা বাস্তবায়ন করেছে। স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কোনো ভূমিকা পালন করেনি।
‘২২শে ডিসেম্বরের নাসিক নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও প্রতিযোগিতামূলক করতে অতীতের সকল অপকর্ম ঢেকে ফেলার জন্য নির্বাচন কমিশন শেষ সুযোগ গ্রহণ করবেন বলে প্রত্যাশা করি,’ মন্তব্য করেন রিজভী।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত, অশুভ নীলনকশা এবং গণবিরোধী মাস্টারপ্ল্যানের মধ্যদিয়েই ক্ষমতায় যায় ও ক্ষমতাকে ধরে রাখে। তাই জনগণের ইচ্ছা অনিচ্ছার উপরই যে একটি রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক শক্তি নির্ভর করে সেটা কখনোই তারা মানতে চায় না। এরা জনগণকে নিজেদের শত্রুপক্ষ মনে করে বলেই ক্ষমতায় এসেই অনাচার অবিচারে নিজেদেরকে লিপ্ত করে। এই কারনেই গণতন্ত্রে সবচেয়ে বড় শর্ত যে নির্বাচন সেটিকে তারা ঘৃণাপূর্ণ দৃষ্টিতে দেখে।
রিজভী আরো বলেন, কয়েক বছর ধরে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনকে আওয়ামী লীগের একটি সাংগঠনিক ইউনিটে পরিণত করার প্রচেষ্টা দেখেছি। ফলে আওয়ামী মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্যই আজকে দেশে ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া সম্ভব হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জনগণ ও বিরোধী দলের ভোটাধিকারের ওপর ভোটারবিহীন সরকারের সেন্সরশিপ বাস্তবায়ন করেছিল আজ্ঞাবাহী বতমান নির্বাচন কমিশন। এই কমিশন শাসক দলের নির্দেশনা মান্য করতে এতই নিবেদিত ছিল যে, মহামান্য উচ্চ আদালতের নির্দেশনা পর্যন্ত অগ্রাহ্য করেছে।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে ব্যাপক অনিয়ম, সহিংসতা, ভোট ডাকাতি, খুন, জখম এবং প্রাণনাশের হুমকি ইত্যাদি অনাচারের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার পরও তারা এটিকে আমলে নেয়নি। বরং বিরোধী দলের সকল অভিযোগ তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে শাসক দলের প্রার্থীদেরকে বিজয়ী করেছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন।
মন্তব্য চালু নেই