‘ইসরায়েলের সঙ্গে বন্ধুত্ব হবে রাজনৈতিক আত্মহত্যা’

বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ইউসুফ এস রামাদান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি বা দল যদি ইসরায়েলের কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি, দল কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে, তবে তা হবে তাদের রাজনৈতিক আত্মহত্যা।’

ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক নাকবা দিবস উপলক্ষে শনিবার বিকেলে দূতাবাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ইউসুফ এস রামাদান বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং আরেকজন নেতা আমার সঙ্গে দেখা করে বলেছেন, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই এবং ওই গোপন বৈঠকের বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না।’

তিনি আরো বলেন, আমরা তাদের (বিএনপিকে) বলেছি, ভবিষ্যতে তাদের প্রথম ও দ্বিতীয় সারির নেতাদের এ বিষয়ে আরো সতর্ক হওয়া উচিৎ। কারণ এ ধরনের ঘটনা তাদের জন্য ‘রাজনৈতিক আত্মহত্যা’ হতে পারে। বাংলাদেশের জনগণ ফিলিস্তিনের সঙ্গে আছে, তারা এ ধরনের আতাঁত মেনে নেবে না।

ভারতে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এক এজেন্টের সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বৈঠক নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করতে এই বৈঠক বলে আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করে আসছেন। তবে আসলাম বলছেন, তিনি ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ভারতে গিয়েছিলেন এবং সেখানে অনেকের সঙ্গে তার ব্যবসায়িক আলোচনা হয়েছে।

ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। এই দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই।

ইসরায়েল ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থানের প্রশংসা করে ইউসুফ এস রামাদান বলেন, তারা ফিলিস্তিনের সঙ্গে আছে এবং ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের আতাঁতের বিরুদ্ধে সরকার খুবই তৎপর। কারণ ইসরায়েল শুধু ফিলিস্তিনের নয়, তারা বাংলাদেশেরও শত্রু।

শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে তার দলের সম্পর্ক নেই।



মন্তব্য চালু নেই