ইসরাইল ইস্যুতে ধরা খেয়েছে বিএনপি

ইসরাইল ইস্যুতে বিএনপি ধরা খেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

শনিবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চের কাজী বশিরউদ্দিন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এক বিশেষ বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

হানিফ বলেন, বিএনপির এক শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার মেন্দি এন সাফাদি নামে এক কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মির্জা ফখরুল শুক্রবার বলেছেন, ‘ইসরাইলের সঙ্গে আমাদের কোনো বৈঠক হয় নাই। এটা হয়তো আসলাম সাহেবের ব্যক্তিগত বৈঠক।’ ধরা খেয়ে এমন সাফাই গেয়ে রক্ষা পাওয়া যাবে না।

শেখ হাসিনাকে হত্যা ও বর্তমান সরকারকে উৎখাত করতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার স্বরণাপন্ন হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন হানিফ।

তিনি বলেন, অনেকেই ভেবেছিলো খালেদা জিয়া হয়তো তার এই ঘৃণ্য মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু না কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না, মানুষ মরলেও স্বভাব বদলায় না। খালেদা জিয়ার সেই ঘৃণ্য মানসিকতার এখনও পরিবর্তন হয় নাই।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ জানে আপনারা (বিএনপি) আবার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। আপনারা গুপ্ত হত্যা চালিয়ে, ধ্বংসাযজ্ঞ চালিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করতে না পেরে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থাসহ পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সরকারের বিরুদ্ধে অশুভ তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছেন।

পাকিস্তানকে ধৃষ্টতা না দেখানোর আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আপনাদের এই জঙ্গি মনোভাব বাংলাদেশের মানুষ বরদাস্ত করবে না। কূটনৈতিক রীতি অনুযায়ী আপনাদের সঙ্গে ভবিষ্যতে থাকবে কি না সেটা বাংলাদেশের মানুষ ভেবে দেখবে। যদি পাকিস্তান বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায় তাহলে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ বর্ধিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই