ইরানের কারুকাজময় অদেখা মসজিদ
বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর মধ্যে ইরান অন্যতম। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমের দেশ হওয়া স্বত্ত্বেও সংস্কৃতিগত দিক দিয়ে অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর চেয়ে ইরান অনেকটাই ভিন্ন। তবে ইরান সবসময়ই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তার গোপনীয়তার চর্চার কারণে। দেশটির অভ্যন্তরে বিদেশি সাংবাদিকদের প্রবেশে যেমন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তেমনি দেশের তথ্য বাইরে যাওয়ার ব্যাপারেও রয়েছে ব্যাপক গোপনীয়তা। তাই ইরান সম্পর্কে বর্হিবিশ্বের মানুষ তেমন একটা জানে না বললেই চলে। সম্প্রতি ইরানের এক স্থানীয় আলোকচিত্রী মোহাম্মদ রেজা দুমিরি গাঞ্জি দেশটির বিভিন্ন সুদৃশ্য মসজিদের ছবি তুলেছেন। যা থেকে আমরা ইরানের উন্নত শিল্পকলা সম্পর্কে জানতে না পারলেও আন্দাজ করতে পারি।
তবে এখানে উল্লেখ করা দরকার আলোকচিত্রী রেজা ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় মাজানদারান প্রদেশের বাবোল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার ছাত্র। আলোকচিত্রে তার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান না থাকলেও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন টিউটোরিয়াল দেখে তিনি শিখে নিয়েছেন আলোকচিত্রের অনেক কলাকৌশল। আর সেই কৌশল আর নিজের ক্যামেরাকে কাজে লাগিয়ে তিনি তুলেছেন বিস্ময়কর সব ছবি। মূলত ২০০৮ সাল থেকে রেজা মসজিদের ছবি তুলতে শুরু করেন।
একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘আমার বিস্ময় ছিল যে, আমি যদি ঐতিহাসিক স্থানগুলোর ছবি তুলতে পারতাম। এই ভাবতে ভাবতেই আমি আমার ট্রাইপড নিয়ে গোটা ইরানের পুরনো মসজিদ খুঁজতে বের হয়ে গেলাম।’ তবে রেজার জন্য কাজটা কিন্তু মোটেও সহজ ছিল না। প্রথমত পর্যটকদের ছবি তুলতে দেয়ার ব্যাপারে অনেক ধরণের নিষেধাজ্ঞা থাকে, তার উপর এরকম ভারি জিনিসপত্র নিয়ে কেউ ছবি তুলবে তাও আবার ইরানে এটা ভাবাই দুষ্কর। তারপরেও অনেক চেষ্টা তদবির করে রেজা একে একে অনেকগুলো পুরনো মসজিদের ছবি তুলতে সক্ষম হন।
‘ছবি তোলার আগে আমাকে টানা কয়েকদিন কাগজপত্র ঘাটাঘাটি করতে হয়েছে। এমনটি আনুষ্ঠানিক অনুমতি পেতেও আমাকে অনেকদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। যতটা সহজ মনে হয় ততটাই কঠিন ছিল ব্যাপারটা। অনেক অসফল চেষ্টার পর সফলতা ধরা দিয়েছে।’ রেজা পুরনো মসজিদের ছবি তুলতে ব্যবহার করেছেন ফিসআই এবং ওয়াইড লেন্স। প্যানারমিক ভিউর জন্য তাকে প্রায়শই সফটওয়্যারের সাহায্য নিতে হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই