ইমরান বিএনপির টাকা খেয়েছে, তাকে ফেসবুক থেকে আনফ্রেন্ড করুন
শফিক রেহমানের পক্ষ নেয়ায় গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি মনে করেন, হয়তো বিএনপি ইমরান এইচ সরকারকে পয়সা দিয়েছে। আর সে কারণেই হয়তো তিনি তাদের হয়ে কথা বলছেন।
বাংলাদেশ সময় রোববার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি এ মন্তব্য করেন। যেখানে তিনি শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার প্রমাণাদি আছে বলেও দাবি করেছেন। জয়ের দেয়া স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো :
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস আমাকে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রে শফিক রেহমানের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা উদ্ঘাটন করেছে। তারা এ বিষয়ে প্রমাণাদি আমাদের সরকারের কাছে দিয়েছে। তাকে এই প্রমাণের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি এরচেয়ে বেশি কিছু প্রকাশ করতে পারছি না, কিন্তু এই প্রমাণ দ্ব্যর্থহীন এবং অখণ্ডনীয়।
আমি আশাই করেছিলাম বিএনপি এটা নিয়ে মিথ্যা বলার চেষ্টা করবে। যদিও আমি আশ্চর্য হয়েছি ইমরান সরকারের (ডা. ইমরান এইচ সরকার) বিষয়ে। সম্ভবত শেষ পর্যন্ত তার আসল চেহারাটা উন্মোচিত হলো। এটা দেখে মনে হচ্ছে সে আমাদের বেশিরভাগ সুশীলের মতই, আরেকটা সুবিধাবাদী এবং মিথ্যাবাদী। হয়তো বিএনপি তাকে পয়সা দিয়েছে। কে জানে। যেভাবেই হোক, আমি তার প্রতি সব শ্রদ্ধা হারিয়েছি। তাকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে আমাদের সরকারের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
আমি আমার সকল বন্ধু এবং ভক্তদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, যারা তাকে অনুসরণ করেন তারা তাকে ফেসবুক থেকে আনফলো/আনফ্রেন্ড করুন। সে একজন অপরাধীর হয়ে কথা বলছে যে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।
উল্লেখ্য, শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তারের ফেসবুকে ডা. ইমরান এইচ সরকার লিখেন, প্রবীণ (৮১ বছর বয়সী) সাংবাদিক শফিক রেহমানের গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শফিক রেহমানের রাজনৈতিক আদর্শের সাথে আমি একমত নই। ভিন্নমতের হলেই তাকে দমন করার যে নোংরা রাজনৈতিক অপকৌশল, এর একটা অবসান চাই।
দেশে যখন একের পর এক মানুষ খুন হচ্ছে, লেখক-প্রকাশক-বিদেশি থেকে শুরু করে মসজিদ-মন্দিরে ঢুকে মুয়াজ্জিন-পুরোহিতকে হত্যা করা হচ্ছে তখন খুনীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে অপহরণের বায়বীয় অভিযোগে এমন একজন প্রবীণ সাংবাদিককে গ্রেপ্তার সত্যিই হতাশাজনক।
আমি প্রত্যাশা করি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং প্রতিপক্ষকে দমনের চেয়ে দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের দিকে মনোযোগী হবে।
এর আগে এক স্ট্যাটাসে জয় বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে একজন বাংলাদেশির ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের জন্য ঘুষ গ্রহণের অপরাধে যে এফবিআই এর সাবেক স্পেশাল এজেন্টের কারাদণ্ড হয়েছিল সেই মামলাতেই তার বিরুদ্ধে প্রমাণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন জয়। যুক্তরাষ্ট্রে ওই মামলায় উল্লেখিত ‘খ্যাতমান বাংলাদেশি নাগরিক’ যে তিনিই এ কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর এ আইসিটি উপদেষ্টা।
গতকাল শনিবার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে (৮২) তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। পরে তাকে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টার মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
মন্তব্য চালু নেই