ইন্টারনেট পুরুষদের চেয়ে নারীদের জন্য বেশি ভীতিকর স্থান
অনলাইনে হয়রানির নতুন একটি গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে ইন্টারনেট পুরুষের তুলনায় নারীদের জন্য বেশি ভীতিকর স্থান। ‘ডেটা অ্যান্ড সোসাইটি’ গবেষকদের প্রকাশিত এই রিপোর্ট অনুযায়ী, নারীরা সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হয় অনলাইনে।
গবেষণায় দেখা গেছে, আমেরিকার প্রায় অর্ধেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অনলাইন হয়রানির টার্গেট হয়। নারী পুরুষের হয়রানির হার একই হলেও দেখা গেছে নারীরা আরও গুরুতর হয়রানির শিকার হয়। উদাহরণস্বরূপ, প্রতি ১০ জন নারী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে একজন অনলাইনে যৌন হয়রানির শিকার হয়; যার বিপরীতে ২০ জন পুরুষ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে একজন পুরুষ এই হয়রানির শিকার হয়। প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, এই হয়রানি নারীদের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ধরে চলে, যা কিনা ক্ষতিকর গুজবের জন্ম দেয়।
প্রতিবেদনের প্রধান লেখক আমান্ডা লেনহার্ট এর মতে, এই কারণেই অনলাইনে নারীদের যন্ত্রনাদায়ক অভিজ্ঞতা থাকে। তিনি আরও বলেন, নারীদের হয়রানি করতে আরও বৈচিত্রময় এবং দীর্ঘস্থায়ী বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করা হয় এবং প্রায়ই এর মাধ্যমে তাকে ভয় দেখানো হয়। এছাড়া এমনও ঘটতে দেখা গেছে, হয়রানির প্রভাব নারীর ব্যক্তিগত, আর্থিক এবং পেশাদার জীবনেও খারাপ প্রভাব ফেলছে।
তবে এক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার জীবনের একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিজেকে খুঁজে পান তাহলে এই হয়রানি ও নির্যাতনের অভিজ্ঞতা আপনার জীবনে ততটা প্রভাব ফেলবে না। তবে আপনি যদি অন্যের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করেন তাহলে এই হয়রানি আপনার জীবনে প্রভাব ফেলবে।
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট
মন্তব্য চালু নেই