ইতিহাস তৈরি করে ছুটছে গতিমান এক্সপ্রেস, যাত্রীদের গোলাপ ফুল দেবেন সেবিকারা
শতাব্দী-দুরন্তকে হার মানিয়ে প্রথম বারের মতো সেমি-হাই স্পিড ট্রেন চালু হচ্ছে। সোমবার থেকেই ছুটবে এই গতিমান ট্রেন। এক ঘণ্টা ৪০ মিনিটে ২০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে গতিমান এক্সপ্রেস।
ভারতের নিজামুদ্দিন ও আগ্রার মধ্যে এই ট্রেন চালু হচ্ছে। এই সেমি-হাই স্পিড ট্রেনে যাত্রীদের গোলাপ দিয়ে স্বাগত জানাবেন রেলসেবিকারা। এমনকি ট্রেনের মধ্যেই নিখরচায় মাল্টিমিডিয়া পরিষেবার সুযোগ নিতে পারবেন যাত্রীরা।
গতিমান এক্সপ্রেসে আগ্রা যাওয়ার পথে মাল্টিমিডিয়া পরিষেবার মাধ্যমে যাত্রীরা তাঁদের পছন্দের ছবি, ভিডিও, টিভি সিরিয়াল, তথ্যচিত্র, গানের ভিডিও, নিউজ, স্পোর্টস ভিডিও, কার্টুন, ভক্তিগীতির ভিডিও প্রভৃতি দেখতে পারবেন।
যাত্রীদের খাবারের গুণগত মান ভালো রাখার পাশাপাশি বৈচিত্রের দিকেও জোর দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহে শুক্রবার ছাড়া বাকি ছ’দিন চলবে ট্রেনটি।
জানা গেছে, ট্রেনটি নিজামুদ্দিন থেকে সকাল আটটা ১০ মিনিটে ছেড়ে আগ্রা পৌঁছাবে ন’টা ৫০ মিনিটে। আবার আগ্রা থেকে বিকাল পাঁচটা ৫০ মিনিটে ছেড়ে সেটি নিজামুদ্দিনে পৌঁছাবে রাত সাড়ে সাতটায়।
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এই ট্রেনে দু’টি এক্সিকিউটিভ এসি চেয়ারকার এবং আটটি এসি চেয়ারকার কামরা থাকছে। এক্সিকিউটিভ এসি চেয়ারকার এবং এসি চেয়ারকারের ভাড়া ধার্য হয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩৬৫ টাকা এবং ৬৯০।
প্রসঙ্গত, ঘণ্টায় ১৪০-১৫০ কিলোমিটার বেগে ছোটে দিল্লি-ভোপাল হাবিবগঞ্জ শতাব্দী এক্সপ্রেস৷ সেই গতিকেও হার মানাবে গতিমান৷ গত ২২ মার্চ পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছিল এটি৷
নর্থ রেলওয়ের দিল্লি ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার অরুণ অরোরা বলেন, গোটা ট্রেনটি তৈরি হয়েছে ভারতে৷ এককথায় মেক ইন ইন্ডিয়া৷ ট্রেনের কোচ তৈরি হয়েছে পঞ্জাবের কাপুরথালা রেলওয়ে কোচ ফ্যাক্টরিতে৷ ট্রেনে বায়ো-টয়লেট তৈরি করেছে ডিআরডিও৷ ট্রেনের ভিতরটি সাজিয়েছে ভারতেরই বিভিন্ন সংস্থা৷ ট্রেনটি শতাব্দীর মতো দেখতে হলেও, গতিমানের পরিষেবা আরও বেশি উন্নত বলেই জানিয়েছেন অরোরা৷
মন্তব্য চালু নেই