ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ৫ ইউপি সদস্য ও গ্রামবাসী

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ১১ নং পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে অত্র ইউপি’র ৫ সদস্য ও এলাকাবাসী। তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম,দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি’র অভিযোগ এনে এক মাসের মধ্যে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবী তুলে আল্টিমেটাম দিয়েছে তারা। তা না হলে কঠোর আন্দোলন যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।

আজ শনিবার সকালে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ১১ নং পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বাবুল হোসেন। এ সময় ইউপি সদস্য আজাহার আলী,আবুল হোনেস,মোকাররম হোসেন,মহিলা সংরক্ষিত ইউপি সদস্য আঞ্জুয়ারা বেগমসহ এলাকার অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে জানানো হয়,ইউনিয়নয় পরিষদের ট্যাক্স আদায়ের সাড়ে ৩ লাখ টাকার মধ্যে সামান্য কিছু ইউনিয়ন পরিষদ ফান্ডে জমা দিয়ে অধিকাংশ টাকাই আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। এছাড়া রাস্তার দু’পাশের দেড় শতাধিক মূল্যবান গাছ কেটে আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করে সম্পূর্ণটাই আত্মসাৎ করেছেন। অন্যদিকে রাস্তার আরও ৩ শতাধিক গাছ কেটে গাছ ব্যবসায়ীদের সাথে আতাঁত করে কম দামে মাত্র তা ২ লাখ টাকায় বিক্রি করে ৬০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেছেন। চলতি অর্থ বছর ২০১৪-২০১৫ এ ৩টি কাবিখা প্রকল্পের নিয়ম মাফিক না করে ২৭ মেট্রিক টন চাল ও গম আত্মসাৎ করেছেন। ৪০ দিনের কর্মসূচীর মাটি কাটার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের দিয়ে তার বোরো জমির ধান কাটিয়েছেন। এমন অসংখ্য দূর্নীতি অভিযোগ আনা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। চেয়ারম্যান মিজানুর ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের পলাশবাড়ী ইউনিয়নের সাধারণ সসম্পাদক পদে অধিষ্টিত থাকলেও তিনি জামাত-শিবিরের সাথে বেশী সখ্যতা রেখেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। এছাড়াও সীমান্ত বেষ্টিত পলাশবাড়ী ইউনিয়নের নিরীহ সাধারণ মানুষকে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চোরাচালান ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত করার ভয় দেখিয়ে অর্থ নেয়া এবং না দিলে মিথ্যা মামলায় হয়রানী করারও অভিযোগ তোলা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়েছে,চেয়ারম্যান মিজানুরের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য একটি অভিযোগপত্র বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক ও রংপুর বিভাগীয় কমিশনারকে দেয়া হয়েছে। ওই অভিযোগপত্রে ইউপি সদস্যরাও ছাড়া ইউনিয়নের অধিকাংশ ওয়ার্ডের আওয়ামীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষর করেছেন।

তবে এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মিজানুর রহানের সাথে যোড়গাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও সাজানো বলে উল্লেখ করেছেন। বলেছেন,আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছে একটি মহল।



মন্তব্য চালু নেই