ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আ’লীগের বৈঠক; সংলাপের আভাস

ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত পিয়েরো মায়াদুরের সঙ্গে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে ইইউ রাষ্ট্রদূতের ঢাকাস্থ বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, আওয়ামী নেতা ও সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু, সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম। বৈঠকে কানাডাসহ আরো একটি দেশের রাষ্ট্রদূত অংশ নেন।

বৈঠকের বিষয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু সাংবাদিকদের জানান, “ইইউ রাষ্ট্রদূত আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তাই আমরা গিয়েছিলাম। আমরা তাকে জানিয়েছি – আলোচনা করতে হলে বিএনপিকে আগে সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে।”

চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও সহিংসতা নিয়ে কোনো আলাপ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আব্দুল মতিন খসরু বলেন, “সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নিরীহ জনগণের প্রাণহানি, হামলা, আক্রমণ, পেট্রোলবোমাসহ সহিংসতার ঘটনায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা এগুলোর নিন্দা জানিয়েছে।“

এর আগে চলমান সহিংসতা সম্পর্কে গত ১৪ জানুয়ারি গণমাধ্যমে বার্তা পাঠিয়ে নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। পাশাপাশি সবগুলো রাজনৈতিক দলকে সংলাপে বসার আহবান জানান।

এদিকে, বাংলাদেশে চলমান অবরোধ-হরতালকে কেন্দ্র করে হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট ডব্লিউ গিবসন। সহিংসতা থেকে বেরিয়ে আসতে তিনি সকল পক্ষকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

চলমান সহিংসতায় দেশের উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতা ব্যাহত হচ্ছে বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, শিশুদের পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে প্রতিদিন। এতে দেশের উন্নয়ন ও স্থিতির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। সহিংস কর্মকাণ্ড ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করা এবং এসব কাজে উস্কানি দেয়া থেকে বিরত থাকতে তিনি সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতির শুরুতে গিবসন বলেন, গত এক মাসে বাংলাদেশ জুড়ে সহিংস কর্মকাণ্ডের ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে আহত হয়েছে কয়েক শত। এতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। চলমান পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত মূল্য যে নিরপরাধ মানুষকে দিতে হচ্ছে- মঙ্গলবার কুমিল্লায় এতোগুলো মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যু তার উদাহরণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে গিবসন বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ সরকারসহ সকল দলকে সংযম প্রদর্শন এবং আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে অব্যাহতভাবে আহ্বান জানাচ্ছে। সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার এ চক্র ভাঙতে তিনি সকল পক্ষকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই