ইংলিশ বোলারদের সামনে অসহায় পাকিস্তান

ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ইংল্যান্ড যখন ব্যাট করছিল, তখন মনে হচ্ছিল এটা বুঝি ব্যাটিং উইকেট। অথচ, পাকিস্তান যখন ব্যাট করতে নামলো, তখন এটা হয়ে গেলো পুরোপুরি বোলিং উইকেট। মনে হচ্ছে যেন, ব্যাটসম্যানদের জন্য কিছুই নেই।
ক্রিস ওকস লর্ডসেও কাঁপিয়েছিলেন। একা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের সামনে ত্রাস হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। যদিও তাকে মোকাবেলা করেও পাকিস্তান লর্ডস জয় করেছিল ২০ বছর পর।
সেই ওকস আবারও ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে পাকিস্তানের সামনে যেন সংহার মুর্তির রূপ ধারণ করলেন। মাত্র ৫৩ রান তুলতেই তার সামনে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসতে শুরু করলো পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। মোহাম্মদ হাফিজ, আজহার আলি এবং নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা রাহাত আলিকে ফিরিয়ে পাকিস্তান ইনিংসে ভালোই একটা ধাক্কা দিয়ে দিলেন এই ইংলিশ পেসার।
হাফিজ আর শান মাসুদের ২৭ রানের জুটিটাই যা একটু বড় হয়েছে। এছাড়া আর কেউ দাঁড়াতেই পারেনি। দলীয় ২৭ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ১৮ রানে ক্রিস ওকসের বলে জো রুটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান হাফিজ।
এরপর আজহার আলী ফিরলেন দলীয় ৪৩ রানে। নামের পাশে লেখা ছিল মাত্র ১ রান। ইউনিস খান উইকেটে নেমে একেবারে নিষ্প্রভ। ৬ বল মোকাবেলা করে ১ রান করে উইকেট দিলেন উইকেটের পেছনে, বেন স্টোকসের বলে।
দিনের শেষ মুহূর্তে আর যেন ব্যাটিং লাইনআপের ওপর কোন চাপ না পড়ে- এ কারণে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে মাঠে নামানো হয় রাহাত আলিকে। ৭ বল মোকাবেলায় ৪ রান করে তিনিও আউট হয়ে যান ওকসের বলে ব্যালান্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
শেষ পর্যন্ত মিসবাহ-উল হক মাঠে নেমে আপাতত ম্যানচেস্টার টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলটা শেষ করে মাঠ ছাড়েন। দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ৫৭। শান মাসুদ ৩০ এবং মিসবাহ ব্যাট করছেন ১ রান নিয়ে। ওকস ১৮ রানে ৩টি এবং স্টোকস ১১ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট।

































মন্তব্য চালু নেই