সাংগঠনিক পদে একাধিক প্রার্থী থাকলে প্রয়োজনে স্বচ্ছ ব্যালট পেপারে নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতা নির্বাচন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।

বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দফতর উপ-কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।

আগামী ২২ থেকে ২৩ অক্টোবর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২০ তম সম্মেলন সফল করতে এ কমিটির গঠন করা হয়েছে।

কোন কোন পদের জন্য ফরম বিক্রি করবে আওয়ামী লীগ? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফরম বিক্রি যারা করে তারা দলে গণতন্ত্র চর্চা করে না। আমাদের গঠনতন্ত্র ফরম বিক্রির কথা বলে না।

তিনি বলেন, ‘কাউন্সিলরদের সামনে প্রার্থীদের পরীক্ষা দিতে হবে। এরপর দলীয় পদে নাম প্রস্তাব হবে, একাধিক প্রস্তাব আসলে স্বচ্ছ ব্যালেট পেপারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যা তিন সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশনের অধীনে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, দেশের কোন রাজনৈতিক দল কি করছে আমি বলতে পারবো না। তবে আমি দাবি নিয়ে বলতে পারি আওয়ামী লীগ সবসময় অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা করে। কখনো পকেট থেকে জ্যাম্বো টাইপের কমিটি ঘোষণা করে না। আমাদের কমিটি হয় গণতান্ত্রিকভাবে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, গঠনতন্ত্রের বাহিরে সভাপতিও কোন সিদ্ধান্ত দেন না। তিনি ইচ্ছে করলে কাউন্সিলরদের অনুমতি ছাড়া সকাল-বিকাল নেতা পরিবর্তন করতে পারেন না। যা অন্যান্য দলে হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্মেলনে আবার আগামী দিনের (ফিউচার লিডার) নেতা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং রাদওয়ান সিদ্দিকি ববি কাউন্সিলর হিসাবে যোগ দেওয়ায় আমরা তাদের অভিনন্দন এবং স্বাগত জানাই।

তিনি বলেন, আশা করি প্রবীণের অভিজ্ঞতা এবং নবীনের অ্যানার্জির সমন্বয়ে ঐতিহ্য, প্রযুক্তি সমৃদ্ধ নেতৃত্বে আমরা নবতর পথযাত্রা ঘোষণা করবো। এবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের স্মরণকালের সেরা বর্নাঢ্য সম্মেলন আমরা দেশবাসীকে উপহার দিব।

তিনি বলেন, ৭৭টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে বুধবার দুপুর পর্যন্ত ৬৭টি জেলার কাউন্সিলর,ডেলিগেটের তালিকা এবং প্রত্যেক জেলার সাংগঠনিক রিপোর্ট আমাদের দফতরে জমা হয়েছে।

তিনি বলেন, ২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের আর ৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এবারের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুরের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা দীপু মণি, আব্দুল মতিন খসরু, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আফজাল হোসেন, ফরিদুন্নাহার লাইলী, সুজিত রায় নন্দী, আমিনুল ইসলাম আমিন, এনামুল হক শামীম প্রমুখ।