আশ্চর্য ক্ষমতাধর কিছু প্রাণী

আমাদের এই পৃথিবীতে রয়েছে জীবনের এক অদ্ভুত ভাণ্ডার। কিছু প্রাণী শতকের পর শতক ধরে নিজেদের ক্ষমতা শানিত করেছে বেঁচে থাকার প্রয়োজনে। এদের কিছু স্থলে আর কিছু বিস্তৃত মহাসাগরের তলদেশে বাস করে। এসকল প্রাণীর এসব দারুণ ক্ষমতা আমাদের কিঞ্চিৎ ঈর্ষান্বিত করে বৈকি। এখানে উল্লেখিত প্রাণীদের রয়েছে বেশ কিছু আশ্চর্যরকম বিবর্তিত ক্ষমতা। পাঠক, চলুন জানা যাক, এমনই কিছু প্রাণীর আশ্চর্য ক্ষমতার কথা।

111

ম্যান্টিস শ্রিম্প বা লম্বাপায়ী চিংড়ি:
উজ্জ্বল ও নিয়ন রঙের মহাসাগরীয় প্রাণী ম্যান্টিস শ্রিম্প বা লম্বাপায়ী চিংড়ির একটি নয়, দুটি বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। এদের চোখে ১৬টি আলাদা আলাদা রঙ দেখতে পারে। এমনকি অতিবেগুনীরশ্মি পর‌্যন্ত এদের চোখে ধরা পরে। এদের অন্য ক্ষমতাটি হলো এরা এদের শুঁড় বা পা ঘন্টায় ৩০ থেকে ৫০ মাইল বেগে নাড়াতে পারে।

lory

লিরিবার্ড:
অন্য সকল গায়ক পাখির চেয়ে লিরিবার্ডের কণ্ঠে রয়েছে এক জটিল মাংসপেশী। এর অদ্ভুত ক্ষমতা হলো, এরা প্রাকৃতিক কিংবা কৃত্রিম অগনিত শব্দ নকল করতে পারে, যা অন্য কোনো গায়ক বা কথাবলা পাখি পারে না। যেমন ক্যামেরার শাটারের শব্দ, গাড়ির হর্ন, কুকুরের ডাক, মানুষের কথা- এ তালিকা লিখে বা বলে শেষ করা যাবে না। ধারণা করা হয়, নারী লিরিবার্ডকে আকৃষ্ট করতে একটি পুরষ লিরিবার্ড তার শেখা সকল শব্দ নিয়ে গান গাওয়ার চেষ্টা করে। একটু কল্পনা করুন, একটি পুরুষ লিরিবার্ড তার সঙ্গিনীকে আকৃষ্ট করতে কুকুরের মতো ঘেউ ঘেউ করছে।

mimic_

মিমিক অক্টোপাস:
লায়নফিস, জেলিফিস, সামুদ্রিক সাপ সহ অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীকে অনুকরণ করার অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে মিমিক অক্টোপাসের। আর এরা এটা করে থাকে নিজেদের গায়ের রঙ ও আকৃতি পরিবর্তন করে। একটি মিমিক অক্টোপাস সাগরের তলদেশে কোনোকিছুর আকার ও পরিবর্তন দেখে এক সেকেন্ডের মধ্যে নিজের বিপদ বুঝতে পারে।

tardi

টার্ডিগ্রেড:
টার্ডিগ্রেড সাধারণত জল ভাল্লুক নামেও পরিচিত। এরা প্রায় অবিনাশী হয়ে থাকে। এক ইঞ্চিরও কম দৈর্ঘ্যের একটি টার্ডিগ্রেড কোনো খাবার ছাড়া ১২০ বছর পর‌্যন্ত বাঁচতে পারে।

ফুটন্ত কিংবা চরম শীতল তাপমাত্রা – কোনো সমস্যা নেই!
মহাসাগরের গভীরতার চাপ – ছেলেখেলা!
আর শুন্যস্থান – তাতেও কোনো পরোয়া নেই!

এমন সব প্রতিকূল অবস্থাতেও এরা বেঁচে থাকতে পারে মূলত তাদের অতিধীর বিপাক প্রক্রিয়ার জন্য।

সূত্র: লোলওয়াট।



মন্তব্য চালু নেই