আল-কায়দা নেটওয়ার্কের মধ্যে পড়ে গেছি আমরাও

মুক্তমনা লেখক অভিজিৎ রায় হত্যায় আন্তর্জাতিক নিষিদ্ধ সংগঠন আল কায়েদার দায় স্বীকারের বিষয়টিতেই বুঝা যায় বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ বিস্তৃত হচ্ছে। এমনটাই মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে সমকালীন রাজনীতি নিয়ে বঙ্গবন্ধু একাডেমীর আয়োজনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সুরঞ্জিত বলেন, ‘আল কায়দা নেতা ওমর যে হত্যাকাণ্ডের দায় নিয়েছে তাতে স্পষ্ট বুঝা যায় বাংলাদেশের জাতীয় সন্ত্রাস ঢুকে পড়েছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির কোনো বিকল্প নেই। আমরা বারবার বলেছিলাম জাতীয়, আন্তর্জাতিক ও ক্রস টেরিজম বিস্তার লাভ করছে। আমরা তার আশঙ্কাও করেছিলাম। একদিন আল কায়েদার ঘোষণা সত্য হবে। আজ তাদের নেটওয়ার্কের ভেতরে পড়ে গেছি।’

সরকারকে আরো কঠোর ও কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, ‘সরকারকে বলবো রাজনীতিকে রক্ষার জন্য এখন সময় এসেছে। তাই দেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য আরো কঠোর, কঠিন হতে হবে। গণতান্ত্রিক, সাংবাবিধানিক ও নিয়মতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য কঠোর ও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। এ ব্যাপারে কোনো রকম আপোষ করার সুযোগ নাই।’

খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনি নির্বাচনের মাঠ পাহারা দিতে নেতাকর্মীদের বললেন- যেভাবেই পারো মাঠে নামো। এটা বলে নিজেই হারিয়ে গেলেন। এভাবে যদি শেখ হাসিনা তার কর্মীদের বলতেন তবে অনেকেই জীবন উৎসর্গ করে রাস্তায় নেমে পড়তো।’

বিএনপির নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি বলেন, ‘নির্বাচনের প্রার্থী দাঁড় করায় শত বুদ্ধিজীবী আর প্রত্যাহার করেন মওদুদ বুদ্ধিজীবী। খায় দায় নজীরউদ্দী আর মোটা হয় জব্বার।’

এসময় তিনি মওদুদকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি প্রত্যাহার করেছেন কিন্তু বিএনপির জনগণ কি তা প্রত্যাখ্যান করেছে? করলে ৯ লাখ ভোট পেলেন কিভাবে? আমরা পেয়েছি ১২ লাখ আর আপনারা পেয়েছেন ৯ লাখ। এখন ভোট হয়নি বললেই কি হবে?’

সভায় ডা. খন্দকার এনামুল হক সেলিমের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী সতিশ চন্দ্র রায়, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, বঙ্গবন্ধু একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই