আলোতে আসছে রেখার জীবনের ‘অন্ধকার’ অধ্যায়
বলিউডের চিরসবুজ আবেদনময়ী অভিনেত্রী বলতে অনেকেই রেখাকে চেনেন। তবে এটাই তার একমাত্র পরিচয় নয়। তিনি অত্যন্ত বিখ্যাত ও বহু পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী। এবার তার জীবনী প্রকাশিত হচ্ছে।
রেখার দাম্পত্য অত্যন্ত অল্প সময়ের। তার সাবেক স্বামী মুকেশ আগারওয়ালের করুণ কাহিনী অনেকেই জানেন। তিনি রেখার সঙ্গে বিয়ের অল্পদিন পরই আত্মহত্যা করেন। আর এ ঘটনাটির মাধ্যমেই শুরু হয় রেখার জীবনী। তার স্বামী মারা যাওয়ার দশক পরও ধর্মীয় মতে সে বিয়ের চিহ্ন ধরে রেখেছেন রেখা। কিন্তু কেন? এমনকি এ প্রশ্ন করেছেন দেশের প্রেসিডেন্টও। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
‘রেখা : দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ বইটি লিখেছেন ইয়াসের ওসমান। প্রকাশক ভারতের জাগারনাট। ২৪০ পাতার এ বইটির দাম ৪৯৯ রুপি। বইটি রেখার জীবনের অন্ধকার অধ্যায়কে আলোর মাঝে নিয়ে আসবে বলেই আশা করছেন ভক্তরা।
বলিউডের পুরনো অভিনেত্রীদের মাঝে নানা সাহসী দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত রেখা। ১৯৬৬ সালে রাঙ্গোলা রত্নাম নামে একটি তেলেগু ছবির মাধ্যমে শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন তিনি। অবশ্য নায়িকা হিসেবে ১৯৭০ সালে শাওন ভাদো নামে একটি ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি বলিউডে যাত্রা শুরু করেন। প্রথম দিকে তার অল্পকিছু ছবি সাফল্য পায়। সত্তর দশকের মাঝের দিকে রেখা অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেন।
৪০ বছরের অভিনয় জীবনে রেখা ১৮০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। রেখা তিনবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন, দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে ও একবার শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রী হিসেবেও সম্মানিত হয়েছেন। ১৯৮১ সালে উমরাহ জান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
রেখার বাবা তামিল অভিনেতা গেমিনী গনেশন ও মা তেলেগু অভিনেত্রী পুষ্পাভ্যাল্লী। ভারতের চেন্নাইয়ে ১০ অক্টোবর, ১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাড়িতে তেলেগু ভাষাতেই কথা বলেন রেখা। তবে তিনি ইংরেজি, হিন্দি এবং উর্দু ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন।
১৯৯০ সালে দিল্লির প্রখ্যাত শিল্পপতি মুকেশ আগারওয়ালকে বিয়ে করেন রেখা। একবছর পর যখন রেখা অমেরিকাতে তখন মুকেশ কয়েকবার চেষ্টার পর আত্মহত্যা করেন। তবে মৃত্যুর আগে চিরকুটে তিনি লিখে যান, তার মৃত্যুতে কারো দোষ নেই।
রেখার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো ‘ঘর’, ‘দো আনজানে’ (১৯৭৬), ‘আলাপ’ (১৯৭৭), ‘ঈমান ধরম’ (১৯৭৭), ‘খুন পাসিনা’ (১৯৭৭), ‘গঙ্গা কি সুগন্ধ’ (১৯৭৮), ‘মুকাদ্দার কা সিকান্দার’ (১৯৭৮), ‘মিস্টার নটবরলাল’ (১৯৭৯), ‘সোহাগ’ (১৯৭৯), ‘রাম বলরাম’ (১৯৮০), ‘সিলসিলা’ (১৯৮১), ‘উমরাহ জান’ (১৯৮১), ‘কোই মিল গয়া’ ইত্যাদি।
মন্তব্য চালু নেই