স্বার্থ বিকিয়ে ভারতের সঙ্গে চুক্তি নয় : ওবায়দুল কাদের

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি হবে না বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের কোন চুক্তি হলে, তা জাতীয় স্বার্থেই হবে। জাতীয় স্বার্থকে বিকিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা কোন দিন কারো সাথে চুক্তি করবেন না।’

রবিবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ৭ মার্চ উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের কথা আছে। গত কয়েক বছরে ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত বেশ কিছু সমস্যার সমাধান হলেও এখনও বেশ কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। ভূমি বিনিময় হলেও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি আটকে থাকায় বাংলাদেশে হতাশা রয়েছে। এ ছাড়াও ট্রান্সশিপমেন্ট নিয়ে চুক্তি চূড়ান্ত হয়নি। ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে অশুল্ক বাধা নিয়েও কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে এগুলোর চেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে। এ নিয়ে সরকার এখনও কিছু জানায়নি, তবে বিদেশি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে কথা বলছেন বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা। তাদের দাবি, ভারতের সঙ্গে সামরিক চুক্তিতে যাচ্ছে সরকার। এমনটি হলে সেটা মেনে নেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি নেতারা। তারা এই চুক্তির সব কিছু প্রকাশের দাবিও জানাচ্ছেন।

শনিবার বিএনপির ভারতবিরোধী সাম্প্রতিক বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপি বরাবর ভারত বিরোধিতা করলেও তাদের কাছ থেকে কিছু আদায় করতে পারেনি। যা কিছু আদায় করেছে, আওয়ামী লীগই করেছে, আর আওয়ামী লীগই করবে।

পরদিন ওবায়দুল কাদেরও কথা বললেন একই ভাষায়। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা এখনও ভারত যাননি। তিনি যাবেন এপ্রিলে, আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ঘোষণা হয়নি। আর তার আগেই বিএনপি গোপন চুক্তির গন্ধ ভাঙা রেকর্ড বাজানো শুরু করেছে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতার জন্য ভারত প্রীতি, আর ক্ষমতা থেকে গেলে ভারত ভীতির কথা বলে। আমাদের ভারত প্রীতিও নেই, ভারত ভীতিও নেই। ভারত আমাদের দুঃসময়ের বন্ধু, বাংলাদেশের স্বার্থে এ বন্ধুত্ব থাকবে। দেশের জনগণ না চাইলে এ বন্ধুত্ব থাকবে না।’

জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই