আ’লীগের ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হিন্দুদের জমি দখলের অভিযোগ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু সাতটি পরিবারের পাঁচ একর কৃষিজমি দখল করে মাছের ঘের তৈরির অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী ওই সংখ্যালঘু পরিবারগুলো মঙ্গলবার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ বুধবার সকালে ওই জমিতে ঘের করার কাজ সাময়িক বন্ধ করে দেয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তুষখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহজাহান হাওলাদার তার ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স সংলগ্ন প্রায় ২২ একর কৃষি জমিতে মাছ চাষ করার জন্য গত কয়েক দিন ধরে ঘের তৈরির কাজ শুরু করেন। ঘের তৈরির জন্য ওই জমিতে মাটি কাটার মেশিন দিয়ে চারপাশে বেড়ি দিয়ে নালাও তৈরি করা হয়। চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদার ওই ঘেরের মধ্যে স্থানীয় পঙ্কজ বেপারী ও তার সহোদর ভাই মনোজ বেপারী, প্রদীপ বেপারী, একই পরিবারে দ্বীপক বেপারী, প্রতিবেশী হাসি রানী, সুধির দেবনাথ ও সুশিল দেবনাথের পৈত্রিক ৫ একর ভোগ দখলীয় কৃষি জমি কোনো চুক্তি ছাড়াই মাটি কেটে জবর দখল করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে ওই চেয়ারম্যান জোর করে ভুক্তভোগী সাত হিন্দু পরিবারের জমিতে নালা কাটা শুরু করলে এক পর্যায় হিন্দু পরিবারের সদস্যরা বাধা দেন। চেয়ারম্যান বাধা না শুনে জমির মাটিকাটা শুরু করলে হিন্দু পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান হাওলাদার তার বিরুদ্ধে জবর দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ওই ঘেরের মধ্যের অধিকাংশ জমিই তার নিজের। কিছু জমির মালিক হিন্দু পরিবারগুলোর সঙ্গে চুক্তিপত্র ও সমঝোতার মাধ্যমেই ঘেরের কাজ শুরু করা হয়। স্থানীয় একটি কুচক্রি মহলের ইন্দনে সংখ্যালঘু পরিবারগুলো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।’
বুধবার সকালে মঠবাড়িয়া উপজেলা জাতীয় হিন্দু মহাঐক্যজোটের সভাপতি শিক্ষক অমল চন্দ্র হালদারসহ নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে চেয়ারম্যান জরুরি কাজে ঢাকা যাওয়ায় ফিরে আসার পরে বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানান।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী হিন্দু পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে জমি দখলের লিখিত অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার রাতেই সাধারণ ডায়েরি করে ওই বিতর্কিত জমিতে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’
মন্তব্য চালু নেই