আরেকটি হারে বিদায় প্রায় নিশ্চিত মাশরাফিদের
বিপিএলে টানা পাঁচটি ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছিল মাশরাফির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। কিন্তু এক ম্যাচ পরেই মিলিয়ে গেল সেই সুখস্মৃতি। আজ চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে আবারও হারের হতাশায় ডুবতে হলো গতবারের শিরোপাজয়ীদের। ১৮৩ রানের বড় সংগ্রহ জমা করেও জয় পেলেন না মাশরাফিরা। চার বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে তামিম ইকবালের চিটাগং।
এই হারের ফলে বিপিএল থেকে মাশরাফিদের বিদায় প্রায় নিশ্চিতই হয়ে গেল। সাত ম্যাচ শেষে কুমিল্লার ঘরে জমা হয়েছে মাত্র ২ পয়েন্ট। অন্যদিকে দারুণ এই জয় দিয়ে লড়াইয়ে ভালোমতোই টিকে থাকল তামিমের চিটাগং। সাত ম্যাচ শেষে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা উঠে এসেছে পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে। ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে মাহমুদউল্লাহর খুলনা টাইটানস।
১৮৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণভাবে করেছিল চিটাগং ভাইকিংস। উদ্বোধনী জুটিতে ২৮ রান যোগ করেছিলেন ডোয়াইন স্মিথ ও তামিম ইকবাল। তৃতীয় ওভারে স্মিথ ২১ রান করে ফিরে গেলেও তামিম আরও কিছুক্ষণ ভুগিয়েছেন কুমিল্লার বোলারদের। দ্বিতীয় উইকেটে এনামুল হককে সঙ্গে নিয়ে গড়েছিলেন ৬২ রানের জুটি। দশম ওভারে এই জুটি ভেঙেছিলেন রায়ান টেন ডেসকাট। ৩০ রান করে ফিরে গিয়েছিলেন অধিনায়ক তামিম। এক ওভার পরে ৪০ রান করে সাজঘরের পথ ধরেছিলেন এনামুলও। কিন্তু তাতেও স্বস্তি মেলেনি মাশরাফিদের। চতুর্থ উইকেটে ৩৯ বলে ৬৪ রানের ঝড়ো জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে অনেকখানি এগিয়ে দেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক ও আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী। ১৯তম ওভারে ৩৮ রান করে শোয়েব ফিরে গেলেও ২৪ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন নবী।
কুমিল্লার পক্ষে দুটি উইকেট পেয়েছেন ডাচ ক্রিকেটার রায়ান টেন ডেসকাট। দুই ওভার বল করে তিনি দিয়েছেন ১৫ রান। একটি করে উইকেট গেছে অধিনায়ক মাশরাফি ও সোহেল তানভিরের ঝুলিতে।
মন্তব্য চালু নেই