আমি ভার্জিন; তারপরও সে পরীক্ষা করে…
সতীত্বের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও সন্দিগ্ধ স্বামীর অত্যাচারের শিকার এক যুবতী। ৩১ বছরের ওই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বাধ্য হয়ে বিজ্ঞানী স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ২০১১ সালে একটি ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটের মাধ্যমে বিয়ের ঠিক হয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মেঘা ও রাকেশের (নাম দুটি পরিবর্তিত)।
সেই সময় বিদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছিলেন রাকেশ। ছুটিতে দেশে ফিরে মেঘার সঙ্গে তাঁর বাগদান হয়। এরপর ফেসবুকে বন্ধুদের সঙ্গে মেঘার বিভিন্ন ছবি দেখে রাকেশের মনে সন্দেহের সূত্রপাত। তিনি তখন মেঘাকে বলেন, ‘ভার্জিনিটি টেস্ট দাও, নইলে বিয়ে করব না’ ‘কথাটা শুনে আমি মর্মাহত হই। আমি ওঁকে বলার চেষ্টা করি যে, আমি ভার্জিন।
কিন্তু ওঁরা আমায় সন্দেহ করছিল। তাই পরীক্ষা দিতে অস্বীকার করতে পারিনি। আমাদের বাগদানও হয়ে গিয়েছিল। তাই বাধ্য হয়ে টেস্টের জন্য রাজি হয়ে যাই।’ দুই হবু ননদের সঙ্গে বেঙ্গালুরুর রাজাজিনগরের একটি হাসপাতালে গিয়ে ভার্জিনিটি টেস্ট করান তিনি। পরীক্ষায় দেখা যায়, তিনি এরপর বিয়ে হয় মেঘা ও রাকেশের। স্বামীর সঙ্গে বিদেশে চলে যান মেঘা। তবে, সন্দেহ থেকেই যায় রাকেশের। মেঘার অভিযোগ, তাঁর ভার্জিনিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁর উপর মানসিকভাবে অকথ্য অত্যাচার চালান তাঁর স্বামী। আর তাঁকে মদত দিয়ে পণ দাবি করেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিয়ের পাঁচ বছর পর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে, বাধ্য হয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন মেঘা।
তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, উভয়পক্ষের বক্তব্য রেকর্ড করে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে, যেহেতু বিয়েটা এখনও ভাঙেনি, তাই কাউন্সেলিং-এর মাধ্যমে মিটমাট করারও চেষ্টা করা হবে।
মন্তব্য চালু নেই