আমার অনুমতির দরকার নেই : সুজন
বিশ্বকাপে অবস্থানরত বাংলাদেশ জাতীয় দলের টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন ক্যাসিনোতে গিয়েছিলেন। এই খবরটা পুরনো। কিন্তু, নতুন খবর হল ক্যাসিনোতে তিনি গিয়েছিলেন গত ২৬ ফেব্রুয়ারি। অর্থাৎ, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ হারের পর।
আর স্থানীয় একটা স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলকে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, হারের পর মন খারাপ ছিল বলেই কিছু বন্ধু-বান্ধবের সাথে ক্যাসিনো গিয়েছিলেন তিনি। বললেন, ‘আমি ওই দিন ক্যাসিনোতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো খেলায় অংশ নেইনি। খেলার পর মন খারাপ ছিল। এখানকার কিছু বন্ধু বেড়াতে নিয়ে গিয়েছিল।’
একদিন আগে থেকেই সাবেক এই অধিনায়কের উপর ক্যাসিনোতে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি এই অভিযোগটা স্বীকার করে নিলেন। যে ছবিটা গতকাল থেকে পাওয়া যাচ্ছে সেটা গত ২৬ তারিখ রাত একটা ৪৫ মিনিটে তোলা।
ক্যাসিনোতে জুয়া খেলার ব্যাপার অস্বীকার করলেও তাকে ডলার হাতে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। এই ব্যপারে সুজন বলেন, ‘এটা সত্যি না। আমি আমার দায়িত্ব সম্পর্কে জানি। আমার কী করা উচিত, বুঝি। যারা এটা বলেছেন, তারা বলতে পারবেন, কেন বলেছেন।’
শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ক’দিন আগেই দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে পেসার আল আমিনকে। বাজিকরের সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠেছিল বলে শোনা গেলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সাফ জানিযে দিয়েছে, রাত ১০টার পর হোটেল থেকে বের হওয়ার কারণেই এতোটা কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। আর সেক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের বেলায় নিয়মটা কি হবে? সুজন অবশ্য নিজের সাথে আল আমিনের তুলনাটা মানতে চাইলেন না, ‘আল আমিনের সঙ্গে আমার তুলনা করলে হবে না। সে একজন খেলোয়াড়। তাকে অনেক নিয়ম মানতে হয়। আমার কী মানতে হয়, সব নিয়ম আমি জানি। আমার রাতে বেরোনোর সময় কাউকে জানানোর দরকার আছে বলে মনে করিনি।’
অথচ, আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, রাত দশটার পর টিম হোটেল থেকে বের না হওয়ার নিয়মটা খেলোয়াড়, কোচ, ম্যানেজার সবার জন্যই একই! তার মানে কি কোন নিয়মেরই তোয়াক্কা করছেন না খালেদ মাহমুদ সুজন?
মন্তব্য চালু নেই