আমাদের কি মাখন থেকে দূরে থাকা উচিত?
বাটার বা মাখন হলো স্যাচুরেটেড বা সম্পৃক্ত ফ্যাটের অন্যতম উৎস। আর স্যাচুরেটেড ফ্যাটের এ উৎসটি খাওয়ার জন্য কতটা নিরাপদ তা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। কিন্তু বাস্তবে আপনার কি মাখন থেকে দূরে থাকা উচিত? এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা কী বলেন? এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
বিশেষজ্ঞদের কাছে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন, এটি ক্ষতিকর। তবে এর চেয়ে ক্ষতিকর নানা খাবার রয়েছে, যা আমরা খাচ্ছি। সে তালিকায় রয়েছে মাংসও।
তাহলে কি এটি খাবার থেকে বাদ দিতে হবে? এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলেন, আপনার যদি কোনো নির্দিষ্ট রোগ বা মেডিক্যাল কন্ডিশন থাকে তাহলে এটি খাওয়া বাদ দিতে হবে। অন্যথায় স্বাভাবিক স্বাস্থ্যে এটি বাদ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
যে কোনো মানুষেরই অধিকাংশ খাবারের উৎস হওয়া উচিত উদ্ভিজ্জ। আর যে সামান্য অংশ মাছ-মাংস, ডেইরি ও পোল্ট্রি থেকে খাওয়া উচিত তার একটি অংশ মাখন হলেও খুব একটা সমস্যা নেই। কিন্তু আপনি যদি মাত্রাতিরিক্ত মাখন খান তাহলে তা সমস্যা হতে পারে।
২০১৪ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, মাখন, মাংস ও পনির খেলে শরীরের ক্ষতি হয় না। এ গবেষণায় গত ৪০ বছর ধরে চলে আসা বিশ্বাসকেও প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়। গবেষকরা এ খাবারটিকে স্বাস্থ্যকর হিসেবেই বর্ণনা করেন।
শরীরে যাদের বাড়তি মেদ রয়েছে তাদের অনৈকেরই লো-ফ্যাট বা ফ্যাট মুক্ত খাবার খাওয়ার নির্দেশনা দেন চিকিৎসকরা। তাদের ক্ষেত্রে মাখন এড়িয়ে চলা যেতে পারে।
স্বাভাবিক স্বাস্থের মানুষের পক্ষে সামান্য মাখন খাওয়া বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করবে না বলেই মনে করেন গবেষকরা। এ কারণে মাখন খাওয়া উচিত কি না, এ প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করছে প্রশ্নকর্তার স্বাস্থ্যের ওপর। তার স্বাস্থ্য যদি মেদবহুল ও কোনো কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয় তাহলে তা খাওয়া যাবে না। অন্যদিকে স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের মানুষের পরিমিত মাখন খেলে তেমন কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই।
মন্তব্য চালু নেই