‘আমাদের এখন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

ইয়াজিম ইসলাম পলাশ, রাবি প্রতিনিধি: ‘বঙ্গবন্ধু শুধুমাত্র একজন সাধারণ মানুষ ছিলেন না। তিনি একজন সংগঠক ছিলেন। তিনি এ দেশের নির্যাতিত মানুষদের একত্রিত করে স্বাধীনতার সপ্ন দেখিয়েছিলেন এবং সে সপ্নকে বাস্তবে রুপদান করেছেন। এর ফলে আজ আমরা একটি স্বাধীন জাতি। আমাদের এখন বঙ্গবন্ধুকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাহলেই বিশ্বের বুকে আমরা একটি উন্নত জাতিতে পরিণত হবো।’

রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মু. এন্তাজুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী ৩ আসনের সাংসদ আয়েন উদ্দিন ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান।

এসময় সাংসদ আয়েন উদ্দিন বলেন, ৭১ এর পরাজিত শক্তি বর্তমানে জেএমবি, আইএস, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নানা নামে আবারো তাদের হীন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে পরাজিত করতে হবে। তারা শান্তির ধর্ম ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে নৃশংসতা চালাচ্ছে। এটা কখনোই ইসলাম হতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হলে এই শক্তিকে পরাজিত করতে হবে।

এর আগে প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ একটি শোক র‌্যালি রোববার সকাল দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিনেট ভবনের সামনে এসে এ শোক সমাবেশে মিলিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আয়োজিত এই র‌্যালিতে অন্যান্যের মধ্যে কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর সায়েন উদ্দিন আহমেদ, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান, প্রক্টর প্রফেসর মো. মুজিবুল হক আজাদ খান, জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. মশিহুর রহমানসহ অনুষদ অধিকর্তা, আবাসিক হল প্রাধ্যক্ষ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট পরিচালক, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন পেশাজীবী সমিতির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। র‌্যালিতে বিভিন্ন আবাসিক হল, বিভাগ ও ক্যাম্পাসের স্কুলের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ব্যানারসহ অংশগ্রহণ করে। র‌্যালি চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাশসমূহ বন্ধ ছিল।

এদিকে দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আয়োজিত কর্মসূচিতে আরো আছে, ১৫ আগস্ট সোমবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন ভবন, আবাসিক হল ও অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭:৩০ মিনিটে কালো ব্যাজ ধারণ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই