‘আমাকেও রাজ সম্পর্কে লোকে কত কী বলেছে, আমি তো বিশ্বাস করিনি!’

সম্পর্কের কথা সরাসরি ভাবে কেউই স্বীকার করেননি। কিন্তু কয়েক দিন আগেও টলিউডের সবচেয়ে বড় ওপেন সিক্রেট ছিল বোধহয় রাজ-মিমির প্রেম। শোনা যায় এক সময় উঠতি এক নায়িকাকে কেন্দ্র করে চিড় ধরেছিল তাঁদের সম্পর্কে। পরে তা মিটেও যায়। আর এখন ব্রেকিং নিউজ রাজ-মিমির ব্রেকআপ। অনুঘটক মিলি। মিমির নতুন বয়ফ্রেন্ড। মাস দু’য়েক আগে বঙ্গ সম্মেলনেও গিয়েছিলেন রাজ-মিমি। তখনও তাঁদের সম্পর্ক অটুট ছিল। এই নতুন ঘটনার সূত্রপাত তুরস্কে। ‘গ্যাংস্টার’-এর শুটিংয়ে। তুরস্কে লোকাল লাইন প্রোডিউসর ইলহান কিজল্কির ছেলে মিলির সঙ্গে শুটিং শুরু হওয়ার কিছু দিন পর থেকেই নাকি চুটিয়ে প্রেম করতে শুরু করেন মিমি। তার জেরেই ভেঙে যায় রাজের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক। কিন্তু এই ব্রেকআপের ব্যাক স্টোরিটা কী? মুখ খুললেন খোদ মিমি।

রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে ব্রেকআপের পর জীবনটা কেমন?

লাইফ গোজ অন। কারও জন্য কিছু থেমে থাকে না। ফলে জীবন চলছে (ভাবলেশহীন মুখ)।

মন খারাপ?

দেখুন রাজের সঙ্গে রিলেশনশিপ নিয়ে ভাল সময়ে তো মিডিয়াতে কিছু বলিনি। ফলে খারাপ সময় নিয়েও কথা বলতে চাই না।

এর জন্য কি সত্যিই আপনি দায়ী?

যদি কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব করাটা অপরাধ হয়, তা হলে এটা নিয়ে কথা না বলাই ভাল।

সম্পর্কটা কি কিছু শেখাল আপনাকে?

অফকোর্স। কিছু তো শিখেছি বটেই।

কী শিখলেন?

এটাই শিখলাম যে, জীবন অতটা সোজা নয়। যতটা আমরা ভাবছি, ততটা সহজ মোটেই নয়। আপনি একটা মানুষকে এক রকম ভাবছেন। কিন্তু সেই মানুষটা ওরকম নাও হতে পারে। এই ঘটনাটা আসলে আমার এক্সপিরিয়েন্স অনেকটা বাড়িয়ে দিল। এই এক্সপিরিয়েন্সটা নিয়ে আগামী ১০ বছর অন্তত কাটিয়ে দিতে পারব।

(সামান্য পজ। পরের প্রশ্ন করার আগে নিজেই বলে উঠলেন) কিছু মানুষের কাজই থাকে তারা সব সময় মিডলম্যান হয়ে থাকতে পছন্দ করে। আর এমন কিছু ছড়ায় যেটা আদৌ ঘটেনি।

তার মানে যা ঘটেনি তেমন কিছু রটানো হয়েছিল?

অফকোর্স।

কে বা কারা রটিয়েছিল?

আমি জানি না। সত্যিই বলতে পারব না। আসলে অন্যদের জীবন নিয়ে অনেক বেশি মাথাব্যথা মানুষের। একটা গুজব যে অনেক কিছু ধ্বংসও করে দিতে পারে এটা মানুষের বোঝা উচিত।

রাজকে তা হলে ভুল বোঝানো হয়েছিল?

এটা তো পার্সন টু পার্সন ভ্যারি করে, কে কী বিশ্বাস করবে। আমাকে ওর নামে অনেক সময় অনেকে অনেক কিছু বলেছে। আমি তো কখনও বিশ্বাস করিনি।

রাজের মায়ের সঙ্গেও আপনার খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। কথা হয়েছে আর?

না। তবে আমার সঙ্গে খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। উনি অসুস্থ ছিলেন। দু’বার নার্সিংহোমে ভর্তি হতে হয়েছিল। একবার যখন আমি এখানে ছিলাম তখন। আর একবার যখন আমি তুরস্কে শুটিং করছি। তবে আমি ফেরার পর উনি আমাকে আর ফোন করেননি।

পুজো আসছে। মিস করবেন রাজকে?

খারাপ লাগবে, হয়তো মিস করব। কি জানি…।

বিশ্বাস করে ঠকলেন?

জানি না। হতেও পারে। আমি হয়তো মানুষ চিনতে, বন্ধু চিনতে ভুল করেছি।

বন্ধু…(প্রশ্ন থামিয়ে দিয়ে)

আমার আর কোনও বন্ধু চাই না, বিশ্বাস করুন। শুধু কাজ থাকুক আমার জীবনে।-আনন্দবাজার



মন্তব্য চালু নেই