আমরা হারিয়ে যাচ্ছিলাম, এখন জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, আমরা চেষ্টা করবো জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। ক্ষমতায় যদি নাও নিতে পারি, আমার বিরোধী দলে থাকবো। কিন্তু এভাবে থাকার চেয়ে না থাকা ভালো। পার্টি প্রায় মৃত। এখন জিএম কাদেরকে এবং রুহুল আমিনকে দায়িত্ব দেয়ায় জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। এখন কোনো কোন্দল নেই। এর আগে কোন্দেল সৃষ্টি হয়েছিল।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত পার্টির নতুন কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান এবং রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব করার প্রসঙ্গে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, ‘তোমাদের মনে অনেক দুঃখ ছিল। এই দুঃখের অবসান হয়েছে। তোমরা আশার আলো দেখতে পারছে। আমরা তো হারিয়ে যাচ্ছিলাম, বিলীন হয়ে যাচ্ছিলাম। সেখান থেকে ফিরে আসছি আজ। আল্লাহর অশেষ রহমত।’
এরশাদ বলেন, ‘মানুষ এই দুই দলকে (আওয়ামী লীগ ও বিএনপি) চায় না। মানুষ পরিবর্তন চাচ্ছে। একটু পরিবর্তন চাওয়ার সুযোগ আমাদের ছিল না, সামর্থ ছিল না। পৌর নির্বাচনে মাত্র একটি আসনে জিতেছি। যে বিএনপি পরিত্যক্ত, তারাও ২৪টি আসনে জিতেছে। এরচেয়ে লজ্জার কি হতে পারে? তাই আমি নতুন লোক এনেছি। জিয়াউদ্দিন বাবুল মহাসচিব থাকাকালীন দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মিলিয়ন ম্যান নিয়ে সমাবেশ করার কথা ছিল। ওই সমাবেশে তার ১০ লক্ষ লোক আনার কথা ছিল, অথচ সেখানে মাত্র দশ হাজার লোক হয়েছে। অর্থাৎ ওনি (বাবলু) সংগঠন ভালো করে বোঝেন না। সংগঠন শক্তিশালী করতে জানেন না। তিনি কি করলেন, রওশন এরশাদকে পার্টির চেয়ারম্যান বানিয়ে দিলেন। আমি তো জীবিত আছি, দেশের বাইরেও নই। তিনি তো এটা করতে পারেন না।’
বাবুলকে ইঙ্গিত করে এরশাদ বলেন, ‘কেউ দল থেকে বহিষ্কার হোক, এটা আমি চাই না। দলে নতুন লোক আসুক, দল শক্তিশালী হোক, আমার হাত শক্তিশালী হোক এটাই চাই।
তিনি বলেন, ‘জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান এবং রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব করায় নতুন জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। শুধু পার্টিতে নয় সারাদেশে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। দেশের ৯০ ভাগ মানুষ খুশি হয়েছে। এখন তারা আশার আলো দেখতে চান।’ পার্টির নেতাকর্মীকে রুহুল আমিন হাওলাদার এবং জিএম কাদেরের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান এরশাদ।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে মহাসচিব পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব করা হয়। এর আগে রংপুরে জিএম কাদেরকে পার্টির কো-চেয়ারম্যান করা হয়। আজ দুপুরে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সামনে দায়িত্ব অর্পণ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন এরশাদ।
মন্তব্য চালু নেই